—নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ কর্মসূচি চলাকালীন বিজেপি-র প্রায় একশো জন কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। রবিবার মালদহ জেলার মোথাবাড়ি বিধানসভা এলাকার বিরোধী দলের ওই কর্মীরা শাসক দলে যোগদান করেন। সরকারি কর্মসূচির অনুষ্ঠানমঞ্চে এই ঘটনার পর দৃশ্যতই হতচকিত হয়ে যান সেখানে উপস্থিত বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন।
রবিবার মোথাবাড়ির আলিনগরের চারু মোড়ে ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’র আয়োজন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সে সময় স্থানীয় বিজেপি নেতা বাবুলাল ঘোষ প্রায় একশো জন দলীয় কর্মী নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।
আলিনগর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ ওয়েবদুল্লা বলেন, “চারু মোড় এলাকার বুথে বিগত নির্বাচনে তৃণমূল ভোট পায়নি। এই বুথে সব ভোটই বিজেপি-র পক্ষে গিয়েছিল। তবে এত জন বিজেপি কর্মী একসঙ্গে দলে আসার ফলে আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে ভোট হবে।”
বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে আসা বাবুলাল ঘোষ বলেন, “নারদা-সারদায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। এখন বিজেপি-তে ভাইরাস ছেয়ে যাবে। তাই টিএমসিতে যোগ দিলাম।” অন্য দিকে, বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করায় জেলা তৃণমূলের শুদ্ধিকরণ হল। গ্রামে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন কর্মীরা।”
চাঁচল বিধানসভার অন্তর্গত ভগবানপুরের শেরবাউল গ্রামে প্রায় ২০০টি সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি-র জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর রাম। দলীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই এঁরা বিজেপি-তে যোগদানের ইচ্ছ প্রকাশ করছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যাণমূলক কাজে খুশি হয়েই এই যোগদান বলে দাবি বিজেপি-র।
তৃণমূল থেকে শুভেন্দুর ইস্তফার পর থেকেই মালদহ জেলা তৃণমূলে ভাঙণ দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপি-তে যোগ দেন গাজোলের তৃণমূল বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস এবং মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ বিশ্বাস। ওই দিনই সংখ্যালঘু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিলেন বিজেপি-তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy