শোকার্ত: অমল রায়ের স্ত্রী ও শাশুড়ি। নিজস্ব চিত্র
কুচলিবাড়িতে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এ দিনই মেখলিগঞ্জ ব্লকেরই বাগডোকরা- ফুলকাডাবরি এলাকায় পিসিশাশুড়িকে পিটিয়ে মারার চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে মৃত্যু হয় মহিলার। শিশু রায় ও অমল রায় নামে দুই অভিযুক্তই ধরা পড়েছেন।
কুচলিবাড়ির ঘটনায় জানা গিয়েছে শিশু রায় নামে এক ব্যক্তি বুধবার রাতে তাঁর স্ত্রী কবিতা রায়কে (৪০) বাটাম দিয়ে আঘাত করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে বাড়িতেই মৃত্যু হয় কবিতার। কিন্তু তাঁর মা বাবা ও ছেলে, ছেলের বৌ কেউ ঘটনাটি টের পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে কবিতা চা বাগানে কাজে যাচ্ছেন না দেখে ডাকাডাকির পর বিষয়টি পরিবারের নজরে আসে। মৃতের বাবা নীরেন রায় বলেন মেয়েকে তাঁরা একই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জোড়াদিঘি গ্রামে বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই জামাই মারধর করতো বলে মেয়ে জামাইকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর থেকে মেয়ে জামাই তাদের বাড়িতেই থাকত। জামাইয়ের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মৃতের আত্মীয় দীপক রায় বলেন, ‘‘শিশু রোজগার করতো না বললেই চলে। দিদির টাকা দিয়েই চলত।’’ স্থানীয়রা জানান, শিশু জুয়া খেলতেন। কয়েক দিন আগে বড় ছেলেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তবে রাতে স্ত্রীকে নিশ্চুপে খুন করে তার সঙ্গেই রাত কাটানো সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করছেন অনেকেই।
বাগডোকরা-ফুলকাডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বুধবার রাতে অমল রায় নামে এক যুবক বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারার চেষ্টা করে তাঁর পিসি শাশুড়ি জ্ঞানবালা বর্মণকে (৬০)। জ্ঞানবালা দেবীর ছেলে গোবিন্দ বর্মণ জানান অমলের স্ত্রী শিলিগুড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। বুধবার জ্ঞানবালা বাড়িতে একা ছিলেন। রাতে অমল বাঁশ দিয়ে তাঁর মায়ের মাথায় আঘাত করেন। জ্ঞানবালা রাতে মারা যান। অমল মানসিকভাবে সুস্থ নয় বলেও গোবিন্দ জানান ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy