জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন অপর্ণা। তাঁর স্বামী সুবোধ ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি বিধায়কের ভাই এবং ভ্রাতৃবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে। পরিবারের লোকজন এবং পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই দম্পতি। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সুবোধ ভট্টাচার্য এবং অপর্ণা ভট্টাচার্য। শনিবার বাড়ি থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’জনকেই ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনই নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন দম্পতি। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য স্বামী-স্ত্রীর দেহ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছেয়
২০০০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন অপর্ণা। ফরওয়ার্ড ব্লকের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। অপর্ণার স্বামী সুবোধ এক সময় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য ছিলেন। তা ছাড়াও সুবোধের আর একটি পরিচয় হল তিনি শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই। তাঁদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার ভাইয়ের বাড়িতে ছুটে যান বিধায়ক। তবে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
অপর্ণার দাদা উত্তমকুমার গৌতম বলেন, ‘‘আমাদের পাশাপাশি বাড়ি৷ আমার মেয়ে ও নাতি রাতে এক সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। শনিবার ভোরে আমার মেয়ে উঠে দেখে দু’জনই মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে আছে৷ কিন্তু কেন এবং কী কারণে ওই ভাবে পড়ে আছে ওরা, আমরা ধারণাই করতে পারিনি প্রথমে।’’ পরে তিনি বলেন, ‘‘হয়তো মেয়ের কারণে মানসিক অবসাদে ছিল ওরা। কারণ, মাস তিনেক আগে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল মালবাজারে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে মেয়ে (তানিয়া ভট্টাচার্য) বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু এ ব্যাপারে কখনও কিছু জানায়নি ওরা। হয়তো সেই কারণ থেকে মানসিক অবসাদ ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy