Advertisement
E-Paper

দাবিদার একাধিক, ‘বায়োডেটা’ দাবি

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়োডেটায় পেশার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিচয়ও উল্লেখ করতে হবে। নেতাদের বাইরে সাধারণ মানুষও তা জমা দিতে পারেন বলে দাবি করেছেন বিজেপির নেতারা। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “বড় পরিবার থাকলে দাবিদারও অনেক থাকবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য নেতৃত্বই।”

অভিজিৎ সাহা 

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৪৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সুপারিশ নয়, ‘বায়োডেটার’ ভিত্তিতে মিলবে পুরভোটের টিকিট। প্রার্থী বাছাই নিয়ে দ্বন্দ্ব এড়াতে এমনই কৌশল নিয়েছে মালদহের বিজেপি শিবির। তাই ‘বায়োডেটা’ তৈরির ধুম পড়েছে নেতা-কর্মীদের অন্দরে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই পুরসভাতেই এক ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে চেয়ে একাধিক দাবিদার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে টিকিট না মিললেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ বা গোঁজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের দলীয় কার্যালয়ে জমা দিতে হবে ‘বায়োডেটা’। আর তা যাচাই করবেন খোদ রাজ্য নেতৃত্ব। বিষয়টি জেলা বিজেপিতে অভিনবই বলে দাবি করেছেন নেতা কর্মীদের একাংশ।

রাজনৈতিক মহলে মালদহ কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে পঞ্চায়েত, লোকসভা নির্বাচনে ভিত আলগা হয়েছে। এখন কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জেলায় এক সময় দ্বিতীয় শক্তিশালী দল বলে পরিচিত বামেরাও। তার পরেও জেলায় মাটি ক্রমশ আলগা হচ্ছে দুই শিবিরেই। বাম-কংগ্রেসের মাটিতেই এখন যেন জোর টক্কর চলছে ঘাসফুল এবং পদ্মের। উত্তর মালদহ লোকসভা আসন কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলেও সামান্য ভোটের জন্য হাতছাড়া হয়ে যায় দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রটি।

লোকসভা ভোটে পুরাতন মালদহের ২০টির মধ্যে ১৭টি এবং ইংরেজবাজারে ২৯টির মধ্যে ২৭টিতেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। ফলে উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীরা। এমন অবস্থায় দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরভোটে কোনও ওয়ার্ডে পাঁচ জন, কোনও ওয়ার্ডে আবার ছ’জন দাবিদার। আর প্রত্যেকেই নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ধরে নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরতে শুরু করে দিয়েছেন। দলের এক নেতা বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বও বিষয়টি টের পেয়েছেন। তাই বায়োডেটা জমার নির্দেশ। আগে জেলার নেতারা সুপারিশ করলেই ওয়ার্ডের টিকিট মিলে যেত। এ বারে আর তা হবে না।”

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়োডেটায় পেশার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিচয়ও উল্লেখ করতে হবে। নেতাদের বাইরে সাধারণ মানুষও তা জমা দিতে পারেন বলে দাবি করেছেন বিজেপির নেতারা। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “বড় পরিবার থাকলে দাবিদারও অনেক থাকবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য নেতৃত্বই।”

municipal election bio data BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy