‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর মতোই পাচার করা হচ্ছিল কোটি টাকার বার্মাটিক কাঠ।
সম্প্রতি গোটা দেশের বক্স অফিসে শোরগোল ফেলে দেওয়া দক্ষিণী ছবি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর মতোই পাচার করা হচ্ছিল কোটি টাকার বার্মাটিক কাঠ। বাঁশের আড়ালে বোঝাই করে সেগুন কাঠ নিয়ে ভিন্ রাজ্যের উদ্দেশে রওনাও দিয়েছিল লরি। কিন্তু শেষমেশ প্রশাসনের কাছে মাথা ঝোঁকাতেই হল পাচারকারীদের। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থেকে তেমনই একটি লরি আটক করেছে রায়গঞ্জ বন বিভাগ। গ্রেফতার করা হয়েছে এক পাচারকারীকেও।
গোপন সূত্রে খবর পেয়েই শনিবার রাতে রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে ওৎ পেতে বসেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। হরিয়ানার নম্বর প্লেট লাগানো বাঁশ বোঝাই লরিটিকে দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের। এর পর লরিটির পিছু ধাওয়া করে সেটিকে ইটাহারে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালান বন দফতরের কর্মীরা। তাতেই পর্দা ফাঁস। বন দফতর সূত্রে খবর, উপরে ও পিছনে বাঁশ দিয়ে আড়াল করে তার মাঝে ৮১টি সেগুন গাছের গুঁড়ি রাখা ছিল লরিতে। সঙ্গে সঙ্গেই আটক করা হয় লরিটিকে। চালককেও গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ বন বিভাগের অফিসে নিয়ে আসা হয়।
বন দফতর জানায়, ধৃতের নাম ভকিল। তাঁর বয়স ২৫। হরিয়ানার বাসিন্দা তিনি। রবিবার ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে হাজির করানো হয়েছে। ভকিলের বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও বেআইনি ভাবে কাঠ পাচারের মামলা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বন দফতরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, দামি ও উন্নতমানের বার্মাটিক কাঠগুলি অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে উত্তরবঙ্গ হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
বাজারে সেগুন কাঠের দাম প্রচুর। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদাও বিপুল। ধরা পড়া কাঠগুলি কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। রায়গঞ্জ ডিভিশনের বনাধিকারিক (ডিএফও) কমল সরকার বলেন, ‘‘প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার বার্মাটিক কাঠের লগ-সহ প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতকে আদালতে হাজির করানো হয়। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy