আধার কার্ড সংশোধনের ফর্মে লাগবে বিধায়কের সই। সাতসকালে প্রচণ্ড ঠান্ডায় তা-ই ২০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বিধায়কের বাড়ির সামনে হাজির মালদহের চাঁচলের খানপুরের আফজল হোসেন। তিনি যে বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা, সেই মালতীপুরের বিধায়ক আলবেরুনী জুলকারনাইনের বাড়ির সামনে তখন লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্মে বিধায়কের স্বাক্ষর পেতে দুপুর গড়িয়ে গেল। তার পরে বাড়ির পথ ধরলেন সকলে।
আফজলের কথায়, ‘‘ভোটার কার্ডে আমার নাম আফজল হোসেন থাকলেও, আধারে মহম্মদ আফজল রয়েছে। বিধায়ক যে ফর্মে সই করলেন সেটা আগের দিন ৪০ কিলোমিটার দূরে বিহারের আবাদপুর থেকে নিয়ে এসেছি। এই ফর্ম ফের আবাদপুরে গিয়ে জমা করতে হবে। সঙ্গে ২০০ টাকা দিলেই নাম সংশোধন হবে।’’
শুধু আফজলই নন, এনআরসি আতঙ্কে আধার কার্ড সংশোধনের এমনই হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতি দিন সকাল হলেই বিধায়কদের বাড়ি বা সংশ্লিষ্ট শাসকদলের অফিসে জমছে কাজকর্ম ফেলে আসা উদ্বিগ্ন মানুষের ভিড়। হরিশ্চন্দ্রপুরের মাসুম সফিকি, নাজির হোসেনের মতো অনেকে জানান, বিহারের আধার-কেন্দ্রে কার্ডের ভুল সংশোধন করতে আগে ১০০ টাকা নেওয়া হলেও, ভিড় দেখে তা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে।