E-Paper

ডুয়ার্স থেকে কোচবিহার, জমজমাট রবিবাসরীয় পিকনিক

বছরের প্রথম রবিবার ডুয়ার্স এবং লাগোয়া পাহাড় এলাকার পিকনিক স্পটগুলিতে থাকল উপচে পড়া ভিড়। গরুবাথানের আপারফাগু পিকনিক কেন্দ্রে সকাল থেকেই প্রচুর ভিড় ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৭
নতুন বছরের প্রথম রবিবার মাল মহকুমার নেওরা নদী পারে পিক নিক।

নতুন বছরের প্রথম রবিবার মাল মহকুমার নেওরা নদী পারে পিক নিক। ছবি দীপঙ্কর ঘটক।

ইংরেজি নববর্ষের প্রথম রবিবারে পিকনিকের হিড়িকে রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস কম চলেছে বলে অভিযোগ। কোচবিহার তো বটেই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এনবিএসটিসি) একাধিক ভিন্‌ জেলাতেও ছিল প্রায় একই ছবি। নিগম সূত্রের খবর, শুধুমাত্র কোচবিহার ডিভিশনের রবিবার ৫০টি বাস পিকনিকের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে এ দিন পিকনিকের জন্য নিগমের ১২০টি বাস ভাড়া যায়। বেসরকারি বাসের চাহিদাও ছিল পিকনিকের জন্য। কোচবিহার আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতি, মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রেও জানা গিয়েছে, রবিবার বড় সংখ্যক বাস পিকনিকের ভাড়া হয়েছে। তবে অভিযোগ, এ দিন রাস্তায় বাস কম থাকায় কোচবিহার-সহ নানা এলাকার নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

তবে নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য বলেন, “দৈনিক গড়ে ৬০০ বাস রাস্তায় চলে। রবিবার চলে গড়ে ৪০০ বাস। তা ছাড়া কিছু বাস স্ট্যান্ডবাই থাকে। অতিরিক্ত বাসই পিকনিকের ভাড়ায় দেওয়া হয়। যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় বাস রাস্তায় নেমেছে।”

কোচবিহার আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক তপন গুহরায় বলেন, “৫০টি বাসের মধ্যে ৩০টিই পিকনিকের ভাড়ায় যায়। রবিবার নিত্যযাত্রী কম থাকে।” আর কোচবিহার জেলা মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “মহুয়া, লঙ্কাপাড়া, পোরোবস্তি-সহ নানা জায়গায় বেশিরভাগ বাস পিকনিকের ভাড়ায় যায়। তবে নিত্যযাত্রীদের কথা ভেবে সমস্ত রুটেই কিছু সংখ্যক বাস চালু রাখা হয়।” এ দিকে প্রথম রবিবারের জমজমাট পিকনিক বসেছিল মাথাভাঙার তেকোনিয়া ইকোপার্ক আমবাড়ি পর্যটন কেন্দ্র ও বড়াইবাড়ি বনাঞ্চলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিকনিক করতে আসা লোকজনের যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ওই সব জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়, ছিল নজরদারি।

অন্য দিকে, বছরের প্রথম রবিবার ডুয়ার্স এবং লাগোয়া পাহাড় এলাকার পিকনিক স্পটগুলিতে থাকল উপচে পড়া ভিড়। গরুবাথানের আপারফাগু পিকনিক কেন্দ্রে সকাল থেকেই প্রচুর ভিড় ছিল। পিকনিক পরিচালন কমিটির কর্মকর্তা দেওয়ান রাই বলেন, “আমাদের কমিটিই পিকনিকের পরে এলাকা পরিষ্কার করে। পাশেই নাগরদোলা-সহ মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও রয়েছে।” মেটেলি ব্লকের সোনগাছি চা বাগানের নাকাটি ডিভিশনের পাশে বুড়িখোলা নদীতেও রবিবার জমজমাট পিকনিক হয়েছে। সামসিং, লালিগুরাস, রকি আইল্যান্ড সর্বত্র ভিড় ছিল। নাগরাকাটার জলঢাকা নদী এবং লাল ঝামেলা বস্তিতেও বিভিন্ন জেলা থেকে পিকনিকের দল আসে। মালবাজারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রোশন প্রদীপ দেশমুখ বলেন, “সর্বত্রই নজরদারি রাখা হয়েছিল।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dooars

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy