E-Paper

দুলাল খুনের তদন্তে ‘সিট’ গড়ল পুলিশ

পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুলাল খুনে বিহারের আব্দুল গনিই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করে থাকতে পারে।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৩৩
মৃত দুলাল সরকার।

মৃত দুলাল সরকার। —ফাইল চিত্র।

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলা-খুনের তদন্তে ‘সিট’ গঠন করল পুলিশ। এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ বিভিন্ন থানার আইসি, ওসিদের নিয়ে ‘সিট’ গঠন করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে এখনও অধরা খুনের ঘটনায় ‘ওয়ান্টেড’ রোহন রজক, বাবলু যাদব এবং আশরফ খান। মঙ্গলবার পাঁচ দিনের হেফাজত শেষে দুলাল খুনের ঘটনায় ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

আজ, বুধবার খুনের ঘটনায় জেল হেফাজতে থাকা বিহারের বাসিন্দা আব্দুল গনিকে ফের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হবে, দাবি পুলিশের। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুলাল খুনে বিহারের আব্দুল গনিই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করে থাকতে পারে। তাকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের বরাত কে দিয়েছিল, প্রশ্নের উত্তর জানতে ফের আব্দুল গনিকে হেফাজতে নেওয়া হবে বলে দাবি পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের।

দুলাল-খুনের পরে ১২ দিন কেটে গেলেও খুনের কারণ নিয়ে ধন্দ কাটেনি। এ দিন আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় হাজির ছিলেন নিহতের স্ত্রী তৃণমূলের পুর-প্রতিনিধি চৈতালী ঘোষ সরকার। তাঁর সামনেই দুলাল-খুনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আদালতে সওয়াল করেন ধৃত নরেন্দ্রনাথের আইনজীবী কলকাতা হাই কোর্টের রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। তিনি খুনের ঘটনায় ‘লেজ’ পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানান আদালতে। তিনি বলেন, “আমার মক্কেল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।” সরকারি আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। নরেন্দ্রনাথ ও স্বপন শর্মাকে নতুন করে পুলিশ হেফাজতে চায়নি। ধৃতদের বিচারক তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে ধৃতদের হেফাজতে নিতে পারে পুলিশ।”

২ জানুয়ারি নিজের খাসতালুক মহানন্দাপল্লিতে দুষ্কৃতীদের ছোড়া একাধিক গুলিতে নিহত হন দুলাল সরকার। পুলিশ বিহারের বাসিন্দা মহম্মদ সামি আখতার, আব্দুল গনি এবং ইংরেজবাজারের টিঙ্কু ঘোষ, অভিজিৎ ঘোষ ও অমিত রজককে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথ ও স্বপনকে। এখনও অধরা রোহন, বাবলু এবং আশরফ। পুলিশের তদন্তে আস্থা প্রকাশ করে চৈতালী বলেন, “পুলিশ সঠিক ভাবেই তদন্ত করছে। আশা করছি আমার স্বামীকে খুনের প্রকৃত কারণ এবং দোষী সামনে আসবে।” মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেছেন, “ফেরার দুষ্কৃতীদের খোঁজে ভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Englishbazar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy