Advertisement
১১ মে ২০২৪
probe

Probe: শীতল, দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে হন্যে পুলিশ

পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন নিখিলের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে জয়শ্রী, শীতল এবং শীতলের স্ত্রী সুবর্না রায়ের একচোট বচসা হয়েছিল।

ফেরার শীতল রায়ের বাড়িটি সিল করেছে পুলিশ।

ফেরার শীতল রায়ের বাড়িটি সিল করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৪৯
Share: Save:

রীতিমতো ছক কষে, দুষ্কৃতীদের এনে, আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেই নিখিলকুমার মজুমদারের বাড়িতে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন জয়শ্রী দাসের ভাই শীতল রায়, প্রাথমিক তদন্তের পরে এমনটাই মনে করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা জয়শ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, এই ষড়যন্ত্র ও হামলার জন্য বিএসফের কনস্টেবল শীতল ওরফে পাপন তাঁর পরিচিত দুই ব্যক্তির সাহায্য নিয়েছিলেন। ঘটনার পরে তিন জনই গা ঢাকা দেন। কিন্তু সেটা কোন দিকে, তা এখনও পুলিশ জানতে পারেনি বলেই দাবি।

দু’দিন আগে রায়গঞ্জের দেবীনগরে এই হামলার ঘটনায় প্রাণ হারান নিখিলের এক মেয়ে দেবী সান্যাল। দেবীর দুই ভাইবোন সুজয়কৃষ্ণ মজুমদার ও রূপা অধিকারী জখম হয়েছেন। পুলিশের দাবি, রায়গঞ্জের কাশীবাটি এলাকায় শীতলের বাড়ির সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্কটি এখনও তাদের হাতে আসেনি। মনে করা হচ্ছে, শীতল সেটি নিয়েই পালিয়েছেন। সেটির খোঁজ পেলে অজ্ঞাত পরিচয় দুই দুষ্কৃতী সম্পর্কেও জানা যাবে। তবে একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, শহরে যেখানে একসময়ে অপরাধপ্রবণতা ছিল, সেখানে রাস্তার সিসি ক্যামেরাগুলির দিকে প্রশাসন নজর দেয়নি কেন? পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, শহরের রাস্তায় ক্যামেরাগুলি খারাপ বলে তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। তার তদন্ত হচ্ছে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরশ বর্মা বলেন, “সমস্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”

রায়গঞ্জ শহরে কয়েক বছর আগেও নিয়মিত গোলমাল লেগেই থাকত। দুই তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে ধুন্ধুমার হয়েছিল বছর কয়েক আগে। বন্দর এলাকায় নিয়মিত গুলি চলত বলেও দীর্ঘদিনের অভিযোগ। তবে সম্প্রতি এমন বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি পুলিশের। তাদের বক্তব্য, এখন তো শহরে রাতেও নির্ভয়ে ঘোরা যায়। তার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল কী ভাবে? এই প্রশ্নের সদুত্তর নেই তাদের কাছে। তবে পুলিশের একটা অংশের দাবি, রায়গঞ্জ থেকে বিহার, হেমতাবাদ, ইটাহার বা মালদহের দিকে সহজেই চলে যাওয়া যায়। এমন একটি সংযোগস্থল হওয়ার ফলে এখান থেকে দুষ্কৃতীদের পালানো সহজ।

পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন নিখিলের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে জয়শ্রী, শীতল এবং শীতলের স্ত্রী সুবর্না রায়ের একচোট বচসা হয়েছিল। অভিযোগ, এর পরেই হামলা হয় দেবী, সুজয়কৃষ্ণ ও রূপার উপরে। এর পিছনে বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ার গোলামালও থাকতে পারে বলে একটি পক্ষের দাবি। কারণ, একটা সময়ে জয়শ্রীর বাবা-মা একসময়ে এই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তখন থেকেই তাঁদের সঙ্গে নিখিলের গোলমাল বলে একটি সূত্রের দাবি। সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

probe Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE