Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রং দিয়ে কাছে যেতে চাইলেন নেতারা

রঙের উৎসবকে সামনে রেখেই চলল বাসিন্দাদের মন জয়ের লড়াই। কেউ ছুটলেন বসন্ত উৎসবের মঞ্চে। কেউ আবার হাজির হলেন বাড়ি বাড়ি। রবি-সোম দু’দিনই নেতামন্ত্রীদের এমন তৎপরতার সাক্ষী হল কোচবিহার।

সপরিবার: দোলের দিন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। নিজস্ব চিত্র।

সপরিবার: দোলের দিন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৭ ০২:২৬
Share: Save:

রঙের উৎসবকে সামনে রেখেই চলল বাসিন্দাদের মন জয়ের লড়াই। কেউ ছুটলেন বসন্ত উৎসবের মঞ্চে। কেউ আবার হাজির হলেন বাড়ি বাড়ি। রবি-সোম দু’দিনই নেতামন্ত্রীদের এমন তৎপরতার সাক্ষী হল কোচবিহার। এবং এখানেও প্রতিপক্ষকে জায়গা ছাড়তে রাজি হননি ডান-বাম কোনও শিবিরের নেতারাই। চেনা নেতাদের রঙ মাখানো অচেনা চেহারা দেখতে সর্বত্রই অবশ্য ছিল উৎসাহীদের ভিড়। পছন্দের নেতাকে কাছে পেয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুযোগও হাতছাড়া করতে চাননি বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকরা।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দোলের দিন কোচবিহারে একাধিক সংস্থা বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে। কোচবিহার এনএন পার্ক ও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। সোমবার হোলি উপলক্ষে গুড়িয়াহাটি ও লাগোয়া এলাকায় বাসিন্দাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মন্ত্রী। সাংসদ নাজিরহাটে আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে হোলিতে মাতেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “শান্তিনিকেতনের মতো কোচবিহারেও বসন্ত উৎসবের আয়োজন দারুণ ব্যাপার।” পার্থবাবু বলেন, ‘‘যতটা সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছি।’’ সোমবার দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ অনুগামীদের নিয়ে হোলিতে মাতেন। পরিচিতদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিষ্টিমুখ হয়। উদয়নবাবু বলেন, “শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয় এমন যে কোনও রঙের আবিরেই আমার আপত্তি ছিল না।’’

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে অবশ্য ‘গেরুয়া’ আবিরেই মজেছিলেন। সিপিএম নেতা প্রাক্তন বনমন্ত্রী অনন্ত রায়, কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহাও নিজের নিজের বাড়ির এলাকায় পড়শীদের সঙ্গে হোলিতে মাতেন। অনন্তবাবু বলেন, “সকালটা নিজের পাড়াতেই কাটিয়েছি।” মহানন্দবাবু বলেন, “মনের রঙই আসল। তাই নির্দিষ্ট কোন রঙের আবির নিয়ে ভাবিনি।” কোচবিহার জেলা কংগ্রেস
সভাপতি শ্যামল চৌধুরী অবশ্য বাড়িতেই ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE