প্রতীকী ছবি।
যে কোনও উপায়ে ‘গড়ে’ বড়সড় আঘাত হানতে হবে। না হলে প্রাপ্তির শিকে তো ছিঁড়বেই না, বরং অপেক্ষা করছে ‘অবনমন’—বিধানসভা ভোটের আগে চাকুলিয়ায় গুঞ্জন এমনটাই। গত বিধানসভা ভোটে চাকুলিয়া আসনে হার হয়েছিল। লোকসভায় অবশ্য এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। সেই ‘পারফর্ম্যান্স’ ধরে রেখে চাকুলিয়া বিধানসভা পুনরুদ্ধারে বুথ স্তরে জোর দিচ্ছে তৃণমূল। পাল্টা রণকৌশল নিয়ে অবশ্য তৈরি হচ্ছে ভিক্টর-শিবিরও।
চাকুলিয়া প্রয়াত বাম বিধায়ক রমজান আলির ছেলে আলি ইমরান রমজের (ভিক্টর) গড় বলে পরিচিত। তিন বারের বিধায়ক ভিক্টরের নাম ডাক রয়েছে। গত বিধানসভার ব্যর্থতার লজ্জা ঢাকতে এ বারে এখন থেকেই ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। সৈনিক পড়শি গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি কর্মীদের বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে চাকুলিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। তবে এ বার তুলে দেব।’’ রব্বানির বার্তা, প্রয়োজনে বিরোধীদের দলে টানতে হবে। ছাত্র, মহিলা, যুব, ব্লক, পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ সদস্য সকলকে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে। সব শক্তি কাজে লাগাতে বলেন তিনি।
এরই পাল্টা দাওয়াই দিতে ভিক্টর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কৃষক আইনের বিরোধিতায় গোয়ালপোখরের সভায় বলেন, ‘‘রাজ্যের শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বুথে বুথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে সন্ত্রাস রুখতে বুথে বুথে ‘লাঠিয়াল বাহিনী’ তৈরি করতে হবে।’’
যদিও চাকুলিয়ায় তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটের মিনহাজ আরফিন আজাদের দাবি, রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের কথা বুথে বুথে প্রচার করা হচ্ছে। তার প্রভাব ভোটে পড়বে।
তবে এই আসন পাখির চোখ বিজেপিরও। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে ছিল। গতবারের থেকে শক্তিও অনেকটাই বাড়িয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, এই বিধানসভায় পাঁচ বছর ধরে সঙ্ঘ পরিবার বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের মাধ্যমে সংগঠন বিস্তার করেছে। যদিও জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর দাবি, সঙ্ঘের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগসূত্র নেই। চাকুলিয়ার বাম বিধায়ক এবং রাজ্যের শাসক দল উন্নয়ন করেননি। তাই মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy