তদন্ত: দার্জিলিঙের পুলবাজারে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র
দার্জিলিং পাহাড়ে ‘আবাস প্লাস’ প্রকল্পের বরাদ্দ হয়নি। প্রশাসন সূত্রে খবর, সেখানে প্রকল্পের ২০১১ সালের আবাস যোজনার তালিকা তৈরি হয়েছিল। ২০১৭-২০১৮ সালে তার কাজ প্রায় শেষ। সেখানে এ বার প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগে তদন্তে গেল কেন্দ্রীয় দল। বুধবার কেন্দ্রীয় দলের দুই সদস্য দার্জিলিঙের পুলবাজার ব্লকের বাদামতাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াবস্তি এবং পাশের এলাকার কয়েকটি বাড়িতে যান। পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তার আগে, রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় দলকে দিয়ে পুরনো কাজের তদন্ত করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক তথা জিটিএ-র প্রধান সচিব এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় দল নিজেদের মতো করে তদন্ত করছে। আমাদের কাছে রিপোর্ট এলে, খতিয়ে দেখব।’’ জিটিএ এবং জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বাদামতাম গ্রাম পঞ্চায়েতের দেড়শোর মতো উপভোক্তার নাম আবাস প্রকল্পে ছিল। প্রায় প্রত্যেকের বাড়ি তৈরি হয়েছে। কিন্তু ২৩ জন উপভোক্তাকে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ, তাঁদের কারও দালানবাড়ি রয়েছে, কেউ এই প্রকল্লে আগেই ঘর পেয়েছেন। সূত্রের খবর, কোনও উপভোক্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। চার জন উপভোক্তার ঘরের কাজ এখনও শেষ হয়নি বলেও অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে অনেক বাড়িতে শৌচাগার না থাকা নিয়েও। সূত্রের খবর, বিজেপি আগেই সেই রিপোর্ট সাংসদ রাজু বিস্তার অফিসের মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল।
দার্জিলিং সাংগঠনিক জেলা (পাহাড়) বিজেপির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ানের বক্তব্য, ‘‘অনিয়মের অভিযোগ মানুষ জানাচ্ছেন। আমরা অনেক আগেই জানিয়েছিলাম। ভোট লক্ষ করে নয়, দূর্নীতির অভিযোগ বিষয়েই কেন্দ্রীয় দল তদন্ত করছে।’’ তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের নেতা গৌতম দেব বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে লাভ হবে না। সবটাই রাজনীতি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’
এ দিন সকালে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউস থেকে পাহাড়ে রওন হয় কেন্দ্রীয় দল। পুলবাজার ব্লকে গিয়ে আধিকারিকদের নিয়ে তদন্তে বেড়িয়ে পড়েন প্রতিনিধিরা। আজ, বৃহস্পতিবার কালিম্পঙে যাওয়ারকথা তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy