E-Paper

ডুয়ার্সের চায়ের স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতি

ডুয়ার্স চায়ের বিপুল চাহিদা রয়েছে পশ্চিম ভারতে। সেখানে সাধারণত দুধ চা তথা চায়ে দুধ মিশিয়ে পান করার প্রবণতা বেশি। এই ধরনের চায়ে লিকার গাঢ় হতে হয়। অর্থাৎ চা পাতার রং এবং স্বাদ দুই কড়া হওয়া বাঞ্ছনীয়।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৫০

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বহুজাতিক চা বিপণন সংস্থা থেকে চা গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিনিধি পরামর্শ দেবেন কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ডুয়ার্স চা। আগামী ৩০ নভেম্বর ডুয়ার্স চায়ের দেড়শো বছর উদযাপন অনুষ্ঠান জলপাইগুড়ির লাটাগুড়িতে। জেলার ছোট চা চাষিদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে মূলত একটি বিষয়কেই সামনে রাখা হয়েছে। কোন কৌশলে ডুযার্স চাযের সুদিন ফিরিযে আনা যায। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, দেশ তথা বিদেশে অন্যতম বড় চা বিপণন সংস্থার কর্তা উপস্থিত থাকবেন আলোচনা চক্রে। দেড়শো বছরের অনুষ্ঠান উদযাপনকে দু’টি ভাগে বিন্যস্ত করেছেন আয়োজকেরা। প্রথম পর্যায়ে ডুয়ার্স চায়ের চাষ পদ্ধতি থেকে শুরু করে চা পাতার গুণমান ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিপণন নিয়ে আলোচনা হবে। চা পর্ষদ, চা গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা আলোচনায় থাকবেন। দেশের অন্যতম বড় বাগান কর্তৃপক্ষের ম্যানেজিং ডিরেক্টরও উপস্থিত থাকবেন।

ডুয়ার্স চায়ের বিপুল চাহিদা রয়েছে পশ্চিম ভারতে। সেখানে সাধারণত দুধ চা তথা চায়ে দুধ মিশিয়ে পান করার প্রবণতা বেশি। এই ধরনের চায়ে লিকার গাঢ় হতে হয়। অর্থাৎ চা পাতার রং এবং স্বাদ দুই কড়া হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই দুই-ই ডুয়ার্স চায়ে মেলে। সে কারণে ডুয়ার্স চা সরাসরি বহু বিপণন সংস্থাও কেনে। যদিও ডুয়ার্স চায়ের নিজস্ব পরিচিতি নেই। কোথাও অসম চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে এবং কোথাও বা ডুয়ার্স চা অসম চা বলে বিক্রি করা
হয়। এর ফলে ডুয়ার্স চা চাহিদা অনুযায়ী বাজার দরও পায় না বলে দাবি। দেড়শো বছর পেরিয়ে এসে ডুয়ার্স চায়ের এই ‘দুয়োরানি’ দশা কাটিয়ে স্বীকৃতি খুঁজতে আলোচনা বসবে এ বছরের চা পাতা তোলার শেষ দিনে।

১৮৭৪ সাল থেকে জলপাইগুড়ির গজলডোবায় চা বাগান পত্তনের শুরু। সেই বছরকে ধরে ডুয়ার্স চায়ের দেড়শো বছরের উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকদের অন্যতম কর্মকর্তা তথা ছোট চা বাগানের সর্বভারতীয় সংগঠনব সিস্টা-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “দেড়শো বছরের উদযাপনের আয়োজনের মূল লক্ষ্য হল ডুয়ার্স চায়ের স্বীকৃতি। ডুয়ার্স চায়ের চাহিদা রয়েছে, বাজার রয়েছে কিন্তু স্বীকৃতি নেই। আলোচনা চক্রে এমন ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যাঁরা চা পাতা তোলা থেকে চা পাতা বিক্রি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন। তাঁদের থেকেই শোনা হবে কোন পথে ডুয়ার্স চায়ের স্বীকৃতি মিলবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dooars

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy