কোথাও চিকেন বিরিয়ানি ৭০ টাকা, আবার কোথাও তা মাত্র ৬০ টাকায়। মাটন বিরিয়ানিও ৯০ টাকার মধ্যে। এ বারের পুজোয় মালদহ জুড়ে এমনই চলছে দামের লড়াই। কে কত সস্তায় বিরিয়ানি দিতে পারে তার লড়াই। দুপুর গড়াতেই সেই সব বিরিয়ানির দোকান ভিড়ে ঠাসা। রাতে ভিড় আরও বেশি। যদিও শহরের নামী রেস্তোরাঁ বা হোটেলগুলিতে কিন্তু ১২০ টাকার নিচে চিকেন বিরিয়ানির দেখা মিলবে না। দামের ফারাক যাই থাক না কেন, পুজোয় মালদহের বাসিন্দারা কিন্তু মজে গিয়েছেন বিরিয়ানিতে।
গত কয়েকমাস ধরেই মালদহ শহর ছেয়ে গিয়েছে বিরিয়ানির দোকানে। বিশেষ করে পুজোর আগে শহরে খুলেছে বেশ কয়েকটি নতুন বিরিয়ানির দোকান। ওই দোকানগুলির মধ্যেই বিরিয়ানির দাম নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আর এই প্রতিযোগিতার জেরে চিকেন বিরিয়ানির দাম নেমে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। দোকানের সামনে লাল কাপড় দিয়ে পেতলের হাঁড়ি রেখে দেদারে বিক্রি হচ্ছে সেই বিরিয়ানি। মাস তিনেক আগে ইংরেজবাজার শহরের মকদমপুর সংলগ্ন বিজি রোডে নতুন বিরিয়ানির দোকান খুলেছেন সমর শেঠ। তিনি বলেন, ‘‘আমি চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। মানুষ খেয়ে তারিফ করছে। বিক্রি ভালো হচ্ছে। তৃতীয়াতেই যা বাজার পেয়েছি তাতে পুজোর চারদিন জমে যাবে।’’ এত সস্তায় কী করে বিক্রি করছেন, তার উত্তর, ‘‘বিক্রি বাড়াতে কম লাভ রাখছি।’’
অতুল মার্কেটের উল্টো দিকে মাত্র সাতদিন আগে একটি বিরিয়ানির দোকান খুলেছে। তার কর্ণধার মাসুম সেখ বলেন, ‘‘পুজোর বাজার ধরতে এক প্লেট চিকেন বিরিয়ানি ৬০ টাকা ও মটন বিরিয়ানি ৯০ টাকায় বিক্রি করছি। কম দাম দেখে মানুষ আসছেন।’’ এই দোকানের পাশেরই একটি দোকানে চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।
সেই দোকানের কর্ণধার শেখ বুলবুল বলেন, ‘‘আমার বিরিয়ানির চালের মান ভালো, সে কারণে দাম একটু বেশি। পুজোয় এই দরেই বিরিয়ানি বিক্রি করব।’’ শহরের আইটিআই মোড়ে রয়েছে পরপর কয়েকটি বিরিয়ানির দোকান। সেখানেও কোথাও ৬০, কোথাও ৭০ টাকা দরে চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে। এক দোকানের মালিক সুমন শেখ বলেন, ‘‘পুজোর বাজার ধরতেই ৬০ টাকায় চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি করছি। অন্য সময় সেটা ৯০ টাকা থাকে।’’ শহরের সুকান্ত মোড়ের কয়েকটি দোকানের মালিকরা বলেন, ‘‘পুজোর বাজারে মানুষ যাতে সস্তায় বিরিয়ানি খেতে পারে সেজন্যই দাম কমানো।’’ যদিও শহরের নামী রেস্তোরাঁ বা হোটেলে কিন্তু এ সব সস্তার বিরিয়ানি নেই। রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একটি নামকরা রেস্তোরাঁর কর্ণধার সজল দাস বলেন, ‘‘আমাদের চিকেন বা মাটন বিরিয়ানির একটা মান রয়েছে। তাই মান বজায় রেখে দেশি চিকেন বিরিয়ানি ১৫০ টাকা ও মাটন বিরিয়ানি ১৭০ টাকায় বিক্রি করি আমরা। আমাদের কাছে যে মানুষরা আসেন তাঁরা কিন্তু ওই দামেই খাওয়া-দাওয়া করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy