Advertisement
E-Paper

এএসআই-মৃত্যু: নমুনা সংগ্রহে ফরেন্সিক কর্তা

পুলিশ সূত্রের খবর, সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে এ দিন রতনের মোটর বাইকটি পরীক্ষা করেন কলকাতা থেকে আসা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষয় সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৩১
এএসআইয়ের দেহ মিলেছিল যেখানে, সেখান থেকে চলছে নমুনা সংগ্রহের কাজ।

এএসআইয়ের দেহ মিলেছিল যেখানে, সেখান থেকে চলছে নমুনা সংগ্রহের কাজ। নিজস্ব চিত্র।

জয়গাঁর ট্রাফিক এএসআই রতনকুমার করের মৃত্যুর তদন্তে এ বার নামলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। এশিয়ান হাইওয়ের পাশে বিচ চা বাগান সংলগ্ন যে ঝোপে ওই পুলিশ আধিকারিকের দেহ মিলেছিল, মঙ্গলবার বিকেলে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন কলকাতা থেকে আসা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষয় সরকার। পাশাপাশি রতনের মোটরবাইকটিও পরীক্ষা করে দেখেন তিনি। গোটা ঘটনার তদন্তে রতনের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন নিয়ে তৈরি হওয়া রহস্যের কিনারা করতে ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

গত সপ্তাহের বুধবার জয়গাঁ থানা থেকে মোটরবাইকে চেপে হাসিমারায় ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ের নাকা পয়েন্টে ডিউটিতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যান ট্রাফিক এএসআই রতনকুমার কর। রবিবার এশিয়ান হাইওয়ের পাশে হাসিমারার বিচ চা বাগান সংলগ্ন ঝোপ থেকে ওই পুলিশ আধিকারিকের দেহ উদ্ধার হয়। যা নাকা পয়েন্ট থেকে মাত্র তিনশো মিটার দূরে। রবিবারই রতনের দেহের ময়নাতদন্তের পরে পুলিশের একটি সূত্র দাবি করে, এটা নিছক দুর্ঘটনা।

কিন্তু প্রশ্ন ওঠে যদি দুর্ঘটনাই হয়ে থাকে, তা হলে রতনের মোটর বাইকের তেমন কোনও ক্ষতি হলনা কেন? পুলিশ সূত্রের খবর, সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে এ দিন রতনের মোটর বাইকটি পরীক্ষা করেন কলকাতা থেকে আসা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষয় সরকার। তার আগে বিকলে ঘটনাস্থলে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের মর্গে রতনের দেহের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা এক চিকিত্সকও। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। ঘটনাস্থল ছাড়ার আগে তিনি জানান, বিভিন্ন পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে সেগুলি পরীক্ষার পর পুলিশকে রিপোর্ট দেওয়া হবে।

রতনের দেহ উদ্ধারের পরই ঘটনাস্থলটি ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন ওই জায়গায় পুলিশকর্মী মোতায়েনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ দিকে, দেহ উদ্ধারের পরে রতনের জামা থেকেই পাওয়া গিয়েছিল তাঁর মোবাইল ফোনটি। কিন্তু এটি দুর্ঘটনা হয়ে থাকলে, রতন নিখোঁজ হওয়ার পর কেন সেখান থেকে আট-নয় কিলোমিটার দূরে তাঁর মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গেল, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সেই রহস্যের কিনারা করতেই এ বার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

Death probe Forensic
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy