মাস ছয়েক আগে যার বিরুদ্ধে হোমের আবাসিকদের যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছিল, প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে সেই দিব্যি ফের হোম চালাচ্ছে ৷
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চালসার শালবাড়ি মোড় এলাকায় এমনই একটি হোম নজরে এল জলপাইগুড়ি সিডব্লুউসি-র৷ বিষয়টি নজরে আসতেই মেটেলি থানাকে ওই হোমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে সিডব্লুউসি৷ সিডব্লুউসি জানিয়েছে, কোনও অনুমোদন ছাড়া সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে চলছে ওই হোমটি৷
সিডব্লুউসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হোমটির নাম ‘শিশু সেবা বাল বিকাশ সঙ্গীতালয়’৷ এক সময় সেখানে বেশ কিছু শিশু, কিশোর ও কিশোরী থাকত৷ সিডব্লুউসি-র চেয়ারপার্সন বেবি উপাধ্যায় জানান, গত বছর জুন মাসে হোমের তিন আবাসিক হোমটি যে চালায় আর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনে৷ তারপর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়৷ হোমে থাকা আবাসিকদের জলপাইগুড়ির বিভিন্ন হোমে নিয়ে যাওয়া হয়৷
কিন্তু এ দিন আচমকাই সেখানে গিয়ে সিডব্লুউসি-র নজরে আসে অভিযুক্ত সেই ব্যক্তি ফের হোমটি চালু করে দিয়েছে৷ যেখানে পনেরো-ষোলোজন শিশু, কিশোর ও কিশোরীও রয়েছে৷ এরপরই সিডব্লুউসি-র সদস্য সুবোধ ভট্টাচার্য মেটেলি থানায় গিয়ে তিনদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন৷ সুবোধবাবু বলেন, ‘‘জেল থেকে ফিরে ফের ওই ব্যক্তি হোমটি চালু করেছেন৷ কিন্তু যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠা ওই ব্যক্তির কাছে হোমটি চালানোর কোন অনুমতিই নেই৷’’
বেবি উপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘হোমটি যে চালায় তার বিরুদ্ধে আবাসিকরা যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তোলার পরই হোমটি আমরা খালি করে দিই৷ ওই ব্যক্তির কাছে হোম চালানোর কোনও অনুমতি এই মুহূর্তে নেই৷ কিন্তু আমাদের এক সদস্য এ দিন এসে দেখেন ফের ওই ব্যক্তি হোম চালাচ্ছেন৷ তারপরই তিনি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন৷’’
কিন্তু অনুমতি ছাড়া প্রশাসনের নজর এড়িয়ে একজন কি করে হোম চালাচ্ছেন? মালবাজারের মহকুমা শাসক দাভাল জৈন বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy