Advertisement
E-Paper

আবেগঘন মুহূর্তেই সুপ্রিয়ার গলায় ছুরি! পুলিশি জেরায় স্বীকার করলেন রায়গঞ্জ খুনের আসামি প্রবাল

খুনের আগে পর্যন্ত নিজের মনের ভাব সুপ্রিয়া দত্তের কাছে বিন্দুমাত্র প্রকাশ করেনি প্রবাল সরকার। রবিবার প্রবালকে আদালতে হাজির করায় পুলিশ। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে আরও ৪ দিন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৩১
রায়গঞ্জের সুপ্রিয়া দত্ত খুনে অভিযুক্ত প্রবাল সরকারকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা পুলিশের।

রায়গঞ্জের সুপ্রিয়া দত্ত খুনে অভিযুক্ত প্রবাল সরকারকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা পুলিশের। — ফাইল চিত্র।

গত ১১ নভেম্বর উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা সুপ্রিয়া দত্তের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁর বাড়িতে। একচল্লিশ বছরের ওই মহিলাকে খুনের ঘটনায় নতুন তথ্য হাতে পেল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরায় ধৃত প্রবাল সরকার ওরফে ছোট স্বীকার করেছে, আবেগঘন মুহূর্তেই সে তার ‘বিশেষ বন্ধু’ সুপ্রিয়ার গলায় বসিয়ে দিয়েছিলেন ছুরি। খুনের আগে পর্যন্ত নিজের মনের ভাব সে বিন্দুমাত্র প্রকাশ করেনি সুপ্রিয়ার কাছে। রবিবার প্রবালকে আদালতে হাজির করায় পুলিশ। তাকে আরও ৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

সুপ্রিয়া খুনের ঘটনায় গত ১৬ নভেম্বর বিকেলে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মূল অভিযুক্ত প্রবালকে। প্রাথমিক ভাবে প্রবালকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেফাজতে থাকাকালীন তদন্তকারী আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন প্রবাল। কিন্তু, তদন্তকারীদের কৌশলের কাছে হার মানতে হয় তাঁকে। কারণ, প্রতি দিন প্রবাল যে বয়ান দিচ্ছিলেন তার নানা অসঙ্গতি তদন্তকারীরা তুলে ধরেন তাঁর সামনে।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টম দিন প্রবাল ভেঙে পড়েন। তিনি খুনের দায় স্বীকার করে নেন। ওই সূত্র আরও জানায়, ১১ নভেম্বর সুপ্রিয়াকে খুনের দিন পরিকল্পনা করেই নিজের ব্যাগে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু, তদন্তকারীদের দাবি, সুপ্রিয়াকে তিনি খুনের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বুঝতে দেননি তাঁর পরিকল্পনা। আগের মতোই সুপ্রিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তিনি ঢুকে পড়েন বাড়ির ভিতরে। পুলিশের দাবি, জেরায় প্রবাল জানিয়েছে, সুপ্রিয়া যখন বিছানায় শুয়ে নিজের ‘বিশেষ বন্ধু’র সঙ্গে আবেগঘন অবস্থায় তখনই অতর্কিতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রবাল।

পুলিশ সূত্র জানায়, সুপ্রিয়ার গলায় কমপক্ষে ৪ বার আঘাত করেন প্রবাল। এই সময় প্রবালের বাঁ হাতেও সামান্য ক্ষত হয়।

খুনের পর প্রবাল গা ঢাকা দেন। সমস্ত প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু, পুলিশ তাঁকে চিহ্নিত করে ফেলেছে এই আন্দাজ করে গা ঢাকা দেন তিনি। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন জলপাইগুড়ির বামনপাড়া এলাকায় প্রবালের বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র, ঘটনার দিন প্রবালের পরা পোশাক, ব্যাগ-সহ আরও কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এই খুনের পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনাও করেছে পুলিশ।

Housewife murder Raigunj Murder Investigation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy