নেশামুক্তি কেন্দ্রে মৃত্যু যুবকের। প্রতীকী চিত্র।
মালদহের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে (হোম) উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ থানার চর কাদিপুর এলাকার একটি হোমে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিকি জমাদার (২৭)। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের হাসপাতালপাড়া এলাকায়।
এ দিন সকালে হোমেই বিকির মৃত্যু হয়। অভিযোগ, হোম কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার কথা স্থানীয় পুলিশকে জানাননি। ওই যুবকের দেহ মালদহের কোনও হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। এ দিন দুপুরে ওই হোমের তিন কর্মী বিকির মৃতদেহ একটি ছোটগাড়ির পিছনের আসনে বসিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের মর্গের সামনে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিন কর্মীকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে। তার পরে, বিকির দেহটি মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসক বিকিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ দিন মেডিক্যালের মর্গে ওই যুবকের মৃতদেহটি ময়না-তদন্ত করিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারী পুলিশ কর্তাদের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রথমত, ওই যুবক হোমে মারা গিয়ে থাকলে, কেন হোম কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা পুলিশকে জানালেন না? দ্বিতীয়ত, হোম কর্তৃপক্ষ কী ভাবে নিশ্চিত হলেন ওই যুবক মারা গিয়েছেন? তৃতীয়ত, কেনও ওই যুবকের দেহ হোমের কাছাকাছি মালদহের কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না?
রায়গঞ্জ পুলিশ-জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, “পুলিশ তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখছে। আপাতত ময়না-তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ। রিপোর্টে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে প্রমাণ মিললে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মৃতের দিদি চুমকি জমাদারের দাবি, পেশায় গাড়ি চালক বিকি বেশ কয়েক বছর ধরে নেশাসক্ত ছিলেন। নেশা ছাড়াতে মাস চারেক আগে বিকিকে তাঁরা মালদহের ওই হোমে ভর্তি করেন। চুমকি বলেন, “হোমের কর্মীরা আমাকে কয়েক দিন আগে জানান, ভাই অসুস্থ। এ দিন সকালে হোমের কর্মীরা আমাকে ফোন করে ভাই মারা গিয়েছে বলে জানান। পুলিশ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক।” ওই হোমের পরিচালন সদস্য শ্যামল দাস ও বাপ্পা ঘোষের দাবি, তাঁরা স্বাভাবিক মৃত্যু মনে করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিকির দেহ নিয়ে রায়গঞ্জে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy