ধৃতকে নিয়ে পুনর্নিমাণে উত্তর কলেজপাড়ায় পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
নতুন নাগরিকত্ব আইনের বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী একটি সংগঠনের সদস্যদের উপরে রায়গঞ্জের উত্তর কলেজপাড়ায় সপ্তাহ দেড়েক আগে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় ধৃত এক যুবককে সেই এলাকায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ রায়গঞ্জের রাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ পাল নামে ধৃত ওই যুবককে উত্তর কলেজপাড়ার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। সেখানে রায়গঞ্জের ডিএসপি (ডিইবি) প্রসাদ প্রধান এবং রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপার সামনে অভিনয় করে আন্দোলনকারীদের উপরে কী ভাবে হামলা চালানো হয়েছিল তা দেখান কৃষ্ণ। পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন দুষ্কৃতীরা কোথায় আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও ধারালো অস্ত্র রেখেছিল, তা কৃষ্ণের কাছে জানতে চায় পুলিশ। জাতীয় সড়ক থেকে রাড়িয়াগামী একটি গ্রামীণ রাস্তা ধরে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে একটি বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গা দেখান কৃষ্ণ। তিনি দাবি করেন, সেখানেই সে সব মজুত করা হয়েছিল।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই হামলায় ১৫-২০ জন দুষ্কৃতী জড়িত ছিল। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারেরও চেষ্টা চলছে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘হামলার ঘটনার পুনর্নির্মাণে ধৃত এক জনকে এ দিন ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ ডিসেম্বর একটি সংগঠনের তরফে নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় বিক্ষোভ আন্দোলন করা হয়। ওই কর্মসূচির পরে গাড়ি ও অটোয় চেপে ইটাহারে ফিরছিলেন অনেকে। অভিযোগ, রায়গঞ্জের উত্তর কলেজপাড়া এলাকায় দুষ্কৃতীরা একটি অটোর দিকে গুলি ও বোমা ছোড়ে। ধারাল অস্ত্রে কয়েক জনের উপরে হামলাও চালানো হয়। তাতে ওই সংগঠনের তিন সদস্য, এক সিভিককর্মী-সহ ছ’জন গুরুতর জখম হন। পুলিশ জানায়, হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরের দিন রায়গঞ্জের রাড়িয়ার বাসিন্দা কৃষ্ণ ও কলেজপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ রাউতকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে দু’জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। যদিও কৃষ্ণ আদালতে দাবি করেছেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy