Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Malda Rainfall

বৃষ্টি, নদী-জলে দুর্ভোগ মালদহে

বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ১১৭.৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

লাগাতার বৃষ্টির কারণে হবিবপুর ব্লকের বুলবুল চন্ডির দরাজপুর ও কেন্দুয়া মৌজার প্রায় একশ বিঘে ধানের জমি জলের তলে।

লাগাতার বৃষ্টির কারণে হবিবপুর ব্লকের বুলবুল চন্ডির দরাজপুর ও কেন্দুয়া মৌজার প্রায় একশ বিঘে ধানের জমি জলের তলে। —নিজস্ব চিত্র।

অভিজিৎ সাহা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ১০:০৯
Share: Save:

কোথাও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর, কোথাও সেতুর উপর দিয়ে বইছে নদী। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি ও নদীর জলে শহর থেকে গ্রাম, প্লাবিত মালদহের একাংশ। এ দিন সকাল থেকেই কোথাও জেলাশাসক, কোথাও অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসকেরা গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন।

আগামী দু’তিন দিনের জন্য জেলায় একাধিক ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ইংরেজবাজারের তিনটি, পুরাতন মালদহে দুটি এবং গাজল ও বামনগোলা ব্লকে পাঁচটি করে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সে শিবিরগুলি থেকে মানুষদের রান্না করা খাবার বিলি করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে ত্রিপল, শুকনো খাবারও বিলি করা হয়েছে।” আজ, শুক্রবার থেকে জেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, দাবি প্রশাসনের।

বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ১১৭.৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গঙ্গা, ফুলহার, মহানন্দা এবং টাঙন নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। গঙ্গা, ফুলহার বিপদসীমার নীচে থাকলেও মহানন্দা, টাঙনের জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ছে। আগামী, দুদিন নদীর জলস্তর বাড়বে বলে দাবি প্রশাসনের। তাদের দাবি, গাজল, বামনগোলার এখনও বহু গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এ দিনের বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের বাসিন্দারা। দুই শহরের বহু ওয়ার্ড জলমগ্ন রয়েছে। বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে মালদহ মেডিক্যালও। মেডিক্যাল ভবনের নীচতলায় জল ঢুকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন রোগী থেকে শুরু করে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাও। যদিও সকালের পরে জল নেমে যায় বলে জানিয়েছেন মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়। রাতভর টানা বৃষ্টিতে ইংরেজবাজারের অমৃতির সেকেন্দারপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ২০১১-১২ সালে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যায়ে রান্নাঘরটি তৈরি হয়েছিল। পরে, প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন। জেলাশাসক বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না অন্যত্র করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” এ ছাড়া রতুয়ার শ্রীপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরগঞ্জ সেতু দিয়ে কালিন্দ্রী নদীর জল বয়েছে। বৃষ্টিতে ধস নেমেছে হবিবপুরের আইহো সেতুর সংযোগকারী রাস্তায়। মানিকচকে আনাজের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় কৃষকেরা নিজেরাই পাম্পের সাহায্য জল সরানোর কাজ শুরু করেছেন। আনাজ চাষি দিবাকর মণ্ডল বলেন, “জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি আছে। জল জমে থাকলে আনাজ পচবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Malda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE