E-Paper

পুলিশের আশ্বাসেও ঘরে ফিরতে নারাজ শিবিরবাসী

যদিও সূত্রের খবর, পুলিশ বার বার পারলালপুর হাই স্কুলে আশ্রিতদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ভরসার কথা বলছে। সোমবার রাতে শিবিরে জঙ্গিপুর পুলিশ-জেলার সুপার আনন্দ রায় ও মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেন।

জয়ন্ত সেন

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১৯
মালদহের পারলালপুরের আশ্রয় শিবিরে।

মালদহের পারলালপুরের আশ্রয় শিবিরে। ছবি: জয়ন্ত সেন।

ঘরে ফেরার ব্যাপারে পুলিশ বার বার আশ্বস্ত করলেও মঙ্গলবার মালদহের পারলালপুর হাই স্কুলের শিবির থেকে কেউই গঙ্গার ওপারে থাকা মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাননি। বরং এ দিন আরও দু’টি পরিবার শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। জানা গিয়েছে, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে শুক্রবার যে গোলমাল হয়েছিল, সে দিনই বিকেলে ধুলিয়ানের বেতবোনা এলাকার ওই দু’টি পরিবার ডিঙিনৌকায় গঙ্গা পেরিয়ে পারলালপুরে তাঁদের আত্মীদের বাড়িতে উঠেছিলেন। সেখানে কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পরে পারলালপুর স্কুলের এই শিবিরে তাঁরা এসেছেন।

শিবিরে আশ্রিত বিকাশ মণ্ডল বলেন, “শুক্রবার আমাদের বাড়িতে লুটপাট করা হয় এবং আগুন ধরানোর চেষ্টা হয়। আতঙ্কে আমরা স্ত্রী, ছেলেপুলে নিয়ে পারলালপুরে পালিয়ে এসেছিলাম। তিন দিন এখানে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। আমাদের এলাকার অনেকেই এই স্কুলের শিবিরে আছে জানতে পেরে এখানে এসেছি। তবে এখনই বাড়ি ফিরে যেতে চাই না। বিএসএফ, পুলিশ টহল দিলেও পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে ভরসা পাচ্ছি না।”

যদিও সূত্রের খবর, পুলিশ বার বার পারলালপুর হাই স্কুলে আশ্রিতদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ভরসার কথা বলছে। সোমবার রাতে শিবিরে জঙ্গিপুর পুলিশ-জেলার সুপার আনন্দ রায় ও মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেন। অভয় দেওয়ার চেষ্টাও করেন। শিবিরে থাকা আর এক ঘরছাড়া, বেতবোনার বাসিন্দা সুভাষ মণ্ডল বলেন, “শুক্রবারই আমার ঘরে লুটপাট চালানো হয়। সমস্ত আসবাব, খাট ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘরে মজুত থাকা চাল নিয়ে যায়। পরিবার নিয়ে গিয়ে সেই ঘরে থাকব কী ভাবে? আর আমরা দিনমজুরি করে খাই, এই পরিস্থিতিতে এলাকায় গিয়ে কাজও পাব না। ফলে সন্তানদের নিয়ে না খেয়েই থাকতে হবে।”

এ দিনও কালিয়াচক ৩ ব্লক প্রশাসনের তরফে শিবিরের আশ্রিতদের চার বেলা শুকনো ও রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের তরফে শুকনো খাবার দেওয়া হয়। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু শিশুদের জামাকাপড় দিয়েছেন ও শুকনো খাবারও দেন। এ দিন বিকেলে শিবিরে থাকা আশ্রিতদের সঙ্গে দেখা করতে যান এলাকার তথা মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। কিন্তু তিনি ভিতরে ঢুকতে পারেননি। ইশা বলেন, “কিছু মানুষ স্কুলের গেটের বাইরে অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি করে, ফলে শিবিরে যেতে পারিনি। বাইরে থেকে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Malda Murshidabad

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy