শিশু পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল জলপাইগুড়ির জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার সাস্মিতা ঘোষের। তাঁকে সাসপেন্ড করল প্রশাসন৷ চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলেও প্রশাসন সূত্রের খবর৷
শিশু পাচার কাণ্ডে ১৮ ফেব্রুয়ারি সিআইডির জালে ধরা পড়ে চন্দনা চক্রবর্তী৷ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে শিশু দত্তক দেওয়ার অভিযোগে গত জুন মাসেই সাস্মিতার নাম জড়ায়৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় সিডব্লুউসি-র সদস্যদের একাংশ শিশু দত্তক নিয়ে চন্দনার হোমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাতে সাস্মিতার নামও ছিল৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সতেরোটি শিশুকে বেআইনি ভাবে দত্তক দেওয়ার ব্যাপারে চন্দনার হোমকে নো অবজেকশন দেওয়ার জন্য তিনি সিডব্লুউসি-র উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন৷
চন্দনা গ্রেফতার হওয়ার দু’দিন পরেই তাঁকে শো-কজ করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক৷ যার জেরে তিন দিনের ভিতরেই ৩৫ পাতার একটি উত্তর দেন তিনি৷
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক রচনা ভগত জানিয়েছেন, হোমে থাকা শিশুদের মনিটরিং-এর একটা বড় দায়িত্ব ছিল সাস্মিতার৷ শো-কজ করার সময় তাঁকে এই সব বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ যার সন্তোষজনক উত্তর তিনি দিতে পারেননি৷ তাই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ শিশু পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সাস্মিতা ঘোষের স্বামী তথা দার্জিলিং-এর ডিসিপিও মৃণাল ঘোষকে৷ সাস্মিতা ঘোষকে সিআইডির জেরার মুখে পড়তে হয়েছে৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, সাস্মিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে ইতিমধ্যেই নারী ও শিশু কল্যাণ দফর থেকে অনুমতি চেয়েছে প্রশাসন৷ সাস্মিতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy