Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Security guards

যুবককে ‘মারধর’, অভিযুক্ত রক্ষীরা

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এক শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে। মেরামতির কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই শ্রমিক। তাঁর আরও দুই সহকর্মী জখম হন।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
চাঁচল শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৩৩
Share: Save:

হাসপাতালের মধ্যে দুই যুবককে টেনে নিয়ে এলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। চলল মারধর। রক্ষীদের অভিযোগ, তাঁদের এক সহকর্মীকে মারধর করেছেন দু’জনে। তা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা হাসপাতালে— বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এমনই ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এক শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে। মেরামতির কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই শ্রমিক। তাঁর আরও দুই সহকর্মী জখম হন। হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছিলেন মৃত ও আহতের আত্মীয়েরা। সেই ভিড় সামলানো নিয়েই শুরু হয় গণ্ডগোল।রক্ষীদের অভিযোগ, তাঁদের এক সহকর্মীকে মারধর করা হয়েছে।

কিন্তু সে ক্ষেত্রে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে হাসপাতালে ঢুকিয়ে এ ভাবে মারধর করা হল কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালের সুপার ওয়াসিম রানা বলেন, ‘‘যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কমিটি গড়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান দেবীগঞ্জের আরিফ হোসেন (৩০)। গুরুতর আহত হন সাহেল আলি ও মজিবর রহমান নামে দুই শ্রমিক। খবর পেয়েই হাসপাতালে আসেন তাঁদের পরিবারের লোকজন। ভিড় সামলানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

গোলমালের জেরে রোগীর পরিজনদের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভ তৈরি হয়। যাঁরা মার খেলেন পুলিশ কেন তাঁদেরই থানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে সেই প্রশ্নও উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক জনের বক্তব্য, যে ভাবে রক্ষীদের কয়েক জন ওই দু’জনকে মারধর করছিলেন তাতে সময়ে পুলিশ না আসলে বড় দুর্ঘটনা হতে পারত। ‘প্রহৃত’ এক জনের দাবি, ‘‘এক আত্মীয়কে দেখতে এসেছিলাম। ভিতরে ঢুকতে যেতেই ওঁরা নিয়ে গিয়ে মারতে শুরু করে।’’ অন্য জন বলেন, ‘‘বাইরে থেকে আত্মীয়ের ওষুধ কিনে ঢুকছিলাম। এক জনকে মারতে দেখে বাধা দিই। উল্টে ওরা আমাকেও মারতে শুরু করে।’’

চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘কোনও তরফেই অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Security guards Chachol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE