গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমার নীচে নামতেই ভাঙন শুরু হয়েছে মালদহের কালিয়াচক ৩ ব্লকের গোলাপ মণ্ডলপাড়ায়। সেখানে প্রায় ৬৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন চলছে। আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে ভাঙনের তীব্রতার এতটাই বেশি ছিল সাতটি পরিবার তাঁদের আসবাব সরাতে পারেননি। কয়েক ঘণ্টায় তাঁদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। সেচ দফতর নাইলন ক্রেটে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী ভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
সেচ দফতরের মালদহ ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘শুধু গোলাপ মণ্ডলপাড়া নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গঙ্গা ভাঙন চলছে। সর্বত্রই অস্থায়ী ভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা হচ্ছে। গোলাপ মণ্ডলপাড়ায় এত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙন হচ্ছে যে সর্বত্র ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে স্পর্কাতর এলাকাগুলিতে ভাঙন আটকাতে সেচ দফতর চেষ্টা করছে।’’
কয়েক দিন ধরে মালদহে গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছিল। সে সময় ভাঙন হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে খবর, রবিবার গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমার চার সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। জল নামতেই ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গিয়েছে কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারদেওনা-শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাপ মণ্ডলপাড়ায়। গত কয়েকদিন ধরেই সেখানে ভাঙন চলছিল। আতঙ্কে বহু বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি নিজেরাই সরিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে এদিন ভাঙনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বেশ কিছু পরিবার ঘরে থাকা তাদের আসবাবপত্র বের করার সময় পাননি। নদীপারেই বাড়ি ছিল বেচন চৌধুরীর। গঙ্গায় মাছ ধরে তার সংসার চলে। দুপুরের দিকে আচমকা তার ঘরবাড়ি ভাঙনে তলিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘‘পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় থাকব ভেবে পাচ্ছি না। নিজের আর জমিও নেই যে সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেব।’’ একই পরিস্থিতি সুশান্ত মণ্ডল, মদন রবিদাস, শ্যামচরণ মণ্ডলেরও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)