কোথাও নড়বড়ে বাঁশের মাঁচার উপর দিয়ে বইছে টাঙন নদী, কোথাও ভেঙে গিয়েছে বাঁশের মাঁচাটুকুও। শুক্রবার, নদীর জলে প্লাবিত হয়ে ‘বিচ্ছিন্ন’ গ্রামের সংখ্যা আরও বাড়ল মালদহে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে জলবন্দি দিন কাটছে পুরাতন মালদহ, বামনগোলা, গাজলের হাজার হাজার পরিবারের।
জরুরি ভিত্তিতে বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কোথাও পঞ্চায়েত, কোথাও ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের দাবি, অস্থায়ী ভাবে বাঁশের মাঁচা, জলবন্দি মানুষদের যাতায়াতের জন্য যন্ত্র-চালিত নৌকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ দিন মহানন্দার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইলেও জলস্তর কমেছে। গঙ্গা ও ফুলহার নদীর জলস্তর বাড়লেও এখনও বিপদসীমার নীচে। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। জরুরি ভিত্তিতে বহু এলাকায় মানুষের যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশাসনের কর্তারা সর্বত্রই ঘুরছেন।”
পুনর্ভবা ও টাঙন নদীর জলে প্লাবিত হয়ে বামনগোলা ও গাজল ব্লকের একাংশ গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। এ বার সেই তালিকায় জুড়েছে হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীর জগন্নাথপুর, পুরাতন মালদহের কৈলাসপুর, সিন্ধিয়া, শিবগঞ্জ, চর লক্ষ্মীপুরের মতো একাধিক গ্রাম। এ দিন সকালে জগন্নাথপুর গ্রামের বাঁশের মাঁচা টাঙন নদীর জলে ভেসে যায়। শিবগঞ্জে বাঁশের মাঁচার উপর দিয়ে টাঙন নদীর জল বইছে। সে জল দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন গ্রামবাসীরা। সুবল সরকার বলেন, “কৈলাসপুর, চর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাঁশের মাঁচা আগেই ভেসে গিয়েছে। নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন নৌকা পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের এখন জলবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে।” বুলবুলচণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমীর সাহা বলেন, “বাঁশের মাঁচা অস্থায়ী ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। তবে জগ্ননাথপুরে গার্ডরেল জরুরি। পঞ্চায়েতের তা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)