শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র তৃণমূলের গৌতম দেব।
‘মেয়রকে বলো’-তে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার মধ্যবর্তী ওয়ার্ডগুলি থেকে প্রচুর অভিযোগ আসছে। ওই ওয়ার্ডগুলিতে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কাজ করছেন না বলে অভিযোগ করলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র তৃণমূলের গৌতম দেব। শনিবার ৪০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এক বাসিন্দা ফোন করে রাস্তার বেহাল পরিস্থিতির কথা জানান। সে সময় মেয়র ওই ব্যক্তিকে বলেন, ‘‘পুরসভা যথাসাধ্য কাজ করছে। বিজেপি বিধায়কেরাও তহবিলের টাকা পান।’’পরে, মেয়র দাবি করেন, “আমি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক থাকাকালীন অনেক কাজ করেছি। এখন বিজেপি সাংসদ, বিজেপি বিধায়কেরা রয়েছেন। তাঁরা এলাকার উন্নয়নের জন্য টাকা পান। কিন্তু সে টাকায় কোনও কাজ করছেন না। তাঁদেরও তো দায়িত্ব রয়েছে।” পাল্টা, এ দিন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা জবাব, “যে টাকা পেয়েছি, সে টাকার কাজ করেছি। সব হিসাব রয়েছে। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক থাকাকালীন গৌতম দেব কোনও কাজ করেননি। মেয়র হয়েও কিছু কাজ করছেন না। মানুষ সবটাই জানেন।”
ঘটনাচক্রে, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মেয়রের পাড়ায় নেশার আসর ও বহিরাগতদের আড্ডা নিয়ে নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার ‘পাড়া মিটিং’-এ গিয়ে সে ব্যাপারে বাসিন্দাদের বিস্তর অভিযোগ শুনতে হয়েছে পুলিশকে। অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন সকাল থেকে মেয়রের পাড়ায় পুলিশের টহলদারি দেখা যায়।
শিলিগুড়ি কলেজের সামনে ও আশপাশের রাস্তায়ও এ দিন সকাল থেকে টহল দেয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। ওই চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা বহিরাগতদের সেখানে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করে পুলিশ। বিনা কারণে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এমন বহিরাগতদের সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। কলেজ পাড়া, বাঘাযতীন পার্ক এলাকায় বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য নিয়ে বহু দিন ধরেই অভিযোগ জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মেয়র বলেন, “শিলিগুড়ি কলেজের এবং বালিকা বিদ্যালয়ের পিছনের রাস্তায় বাইরে থেকে তরুণ-তরুণীরা এসে ভিড় করেন। এর আগে, কলেজের পাঁচিল ছিল না, এখন তা হয়েছে। কলেজ মাঠ ও অন্ধকার রাস্তাগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশকে টহলদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।আমি নিজে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।” এখন থেকে মাঝেমধ্যেই এলাকায় টহলদারি চলবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy