ভোটারদের গণনাপত্র (এনুমারেশন ফর্ম) ডিজিটাইজ়ের কাজ এখনও বেশ খানিকটা বাকি। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই কাজ করতে গিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় মৃত হিসাবে অন্তত ২৫ হাজার ভোটারের নাম বাদের তালিকায় চলে এসেছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ‘শিফটিং ভোটার’ হিসাবেও আরও কয়ে কয়েক হাজার ভোটারের নাম বাদের তালিকায় এসেছে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। নির্বাচনের কাজে যুক্ত প্রশাসনের আধিকারিকদের ধারণা, জেলায় গণনাপত্র ডিজিটাইজ়ের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে বাদের এই তালিকাটা আরও বাড়বে।
ফর্ম দেরিতে আসায় আলিপুরদুয়ার জেলার বেশ কিছু জায়গায় দেরিতে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজ শুরু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তার পরেও অবশ্য উত্তরের এই জেলায় দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে যেতে থাকে। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ফর্ম ডিজিটাইজ়ের কাজে দিন তিনেক আগে আলিপুরদুয়ার জেলা রাজ্যে প্রথম স্থানে উঠে আসে। কিন্তু প্রশাসন সূত্রের খবর, তার পর কিছুটা পিছিয়ে এ কাজে এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ার রাজ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, জেলায় ফর্ম ডিজিটাইজ়ের কাজ দ্রুততার সঙ্গেই এগোচ্ছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় ৮০ শতাংশের বেশি ফর্মের ডিজিটাইজ় হয়ে গিয়েছে বলেওজানিয়েছেন তাঁরা।
আর এই এসআইআরের কাজ করতে গিয়েই এখনও পর্যন্ত জেলায় অন্তত ২৫ হাজার মৃত ভোটার ও আরও কয়েক হাজার শিফটিং ভোটারের সন্ধান মিলেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাইজ়ের কাজ শেষ পর্যায়ের দিকে এগোতে থাকলেও, এখনও পর্যন্ত আলপুরদুয়ার জেলায় প্রায় আটশো ভোটারকে গণনাপত্র বা ফর্ম দেওয়া যায়নি। যদিও জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এখনও সময় রয়েছে। বিএলও-রা একটি বাড়িতে তিন বার করে যাবেন। তিন বারেও কাউকে বাড়িতে না পাওয়া গেলে, কী করতে হবে, সেটাও কমিশনের গাইডলাইনে বলা রয়েছে। পাশাপাশি যরা এখনও ফর্ম পাননি বলে বলা হচ্ছে, তাঁদের অনেকে অনলাইনেও ফর্ম পূরণকরে দিয়েছেন।
এসআইআর প্রক্রিয়ায় জেলায় মোট কত ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক সাফ বলেন, “এক জন বৈধ ভোটারের নামও আমরা তালিকা থেকে বাদ পড়তে দেব না। আমাদের বিএলএরা জেলা জুড়ে নজর রাখছেন।” বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ বলেন, “আমরা চাই পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকার মধ্য দিয়ে রাজ্যে ভোট হোক। এসআইআরের মাধ্যমে সেটাই হবে বলেআমাদের আশা।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)