পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত। — ফাইল চিত্র।
গত বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তুষারপাত শুরু হয়েছিল দার্জিলিং পাহাড়ে। এ বার সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হাত ধরে ক্ষীণ হলেও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের উঁচু পাহাড়ে মরসুমের প্রথম বরফ পড়ার। সিকিমের উচ্চ অক্ষাংশেও তুষারপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েক দিন ঝঞ্ঝার প্রভাবে সমতলের জেলাগুলিতেও কুয়াশার দাপট বাড়বে বলেও ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের। ঝঞ্ঝার পরে, শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে বলেই দাবি দফতরের আধিকারিকদের।
বুধবার থেকেই ঝঞ্ঝার কবলে পড়েছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে দার্জিলিং এবং কালিম্পয়ের পাহাড়ি এলাকার উঁচু এলাকায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে আগামী কয়েকদিন। তার সঙ্গেই উঁচু এলাকাগুলিতে বরফ পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের। এ দিন থেকেই উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায় ঝঞ্ঝার প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে মেঘের আনাগোনা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের কিছু অংশ এবং সিকিমের উপর দিয়ে ঝঞ্ঝা বয়ে চলতে শুরু করেছে। তুষারপাত হবে উঁচু এলাকাগুলিতে। বৃষ্টি এবং সমতলে কুয়াশা থাকবে কয়েক দিন।’’ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গেই টাইগার হিলের মতো এলাকায় তুষারপাত হলেও হতে পারে বলেই ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের। তবে দার্জিলিং পাহাড়ের আরও উঁচু এলাকা সান্দাকফুতে মরশুমের প্রথম বরফ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা।
পূর্বাভাসে আগামী তিন দিন এই পরিস্থিতি চলতে পারে বলে জানান হয়েছে। তবে এ দিন থেকেই উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় রোদের অনুপস্থিতিতে মেঘলা ছিল সারাদিন। দিনের তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। রাতে কুয়াশার জন্য রাতে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে সব জেলাতেই। আগামী কয়েকদিন পর থেকে দিনে-রাতে তাপমাত্রা আরও নামবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দফতরের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাত থেকে গৌড়বঙ্গের কয়েকটি জেলায় কুয়াশার দাপট শুরু হয়েছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy