E-Paper

কর্মশ্রী, রাজ্যের হারের চেয়ে পিছিয়ে জেলা

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত প্রকল্পে কাজ পাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লক্ষের সামান্য বেশি। কর্মদিবস তৈরি করা গিয়েছে প্রায় ৫০ হাজার।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩২
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

একশো দিনের কাজ আর মিলছে না। বিকল্প ৫০ দিনের কর্মনিশ্চয়তার প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’ চালু হয়েছে অনেক দিন। কিন্তু তাতে কি ঠিক ভাবে কাজ পাচ্ছেন জব-কার্ডধারীরা? দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই প্রকল্পে বেশ কয়েকটি সমস্যা উঠে আসছে বলে মনে করছেন আধিকারিকদের অনেকে। প্রচার এবং কড়াকড়ির অভাবে কর্মনিশ্চয়তায় রাজ্যের হারের চেয়ে অন্তত ১০ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। যদিও লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি তা রয়েছে বলেই দাবি আধিকারিকদের।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত প্রকল্পে কাজ পাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লক্ষের সামান্য বেশি। কর্মদিবস তৈরি করা গিয়েছে প্রায় ৫০ হাজার।
২০২৪ সালের শেষে ঠিকাদার নিযুক্ত শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জব-কার্ড। যদিও সরকারি বা বেসরকারি কাজে 'লেবার পুল' থেকেই শ্রমিক সরবরাহ হয়। তাতে অনেকেরই জব-কার্ড থাকে না। সুনির্দিষ্ট ফর্মের বদলে শ্রমিক নিযুক্তির রিপোর্ট সাদা কাগজেও জমা দিচ্ছেন কেউ কেউ। গঙ্গারামপুরের এক ঠিকাদার বলেন, ‘‘একটি জায়গায় দ্রুত কাজ করতে গেলে হঠাৎ কিছু শ্রমিক অনেক সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে সব সময় জব-কার্ডধারী খুঁজতে গেলে কাজ সময়ে তোলা যাবে না।"

আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েত স্তরে বা ব্লকস্তরে জব-কার্ডধারীরা কাজ পাওয়ার আবেদন করলে তা জেলায় আসে। কোনও ঠিকাদার শ্রমিক চেয়ে প্রশাসনে আবেদন করলে যদি ওই ব্লকের কর্মপ্রার্থীদের সঙ্গে মিলে যায়, তবে শ্রমিকদের আবেদন ফের ব্লকে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে তাঁদের জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এই পদ্ধতি অতিরিক্ত জটিল, প্রচারও কম বলে অভিযোগ। এতে আবেদন প্রায় হয় না। দাবি, এই প্রকল্প চালু হওয়ার আগেও শ্রমিকেরা ঠিকাদারের মাধ্যমেই কাজ পেতেন।

আবেদন করার প্রক্রিয়া আরেকটু সরল করা যাচ্ছে না কেন? এ বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘সরকারি বিধি যেমন রয়েছে, তার মধ্যেই আমাদের চলতে হয়। প্রচার আরেকটু বাড়িয়ে আরও শ্রমিককে প্রকল্পের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

South Dinajpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy