নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ময়দানে কৃষ্ণেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে পুলিশ ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর মধ্যে। কৃষ্ণেন্দুর দাবি, পুলিশ তাঁর তিন নিরাপত্তারক্ষীকেই তুলে নিয়েছে। যদিও তিনজন নয়, কৃষ্ণেন্দুর একজন নিরাপত্তারক্ষীকে রুটিন মাফিক বদলের জন্য তোলা হয়েছিল বলে পাল্টা দাবি পুলিশের।
বুধবার নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে পুলিশ ও কৃষ্ণেন্দুর মধ্যে চাপানউতোরকে নিয়ে হইচই পড়ে যায় মালদহে। তৃণমূলের একাংশের দাবি, সম্প্রতি ইংরেজবাজারের পুরপ্রশাসক তথা বিধায়ক তৃণমূলের নীহার রঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল কৃষ্ণেন্দুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। নীহার খোদ কৃষ্ণেন্দু ও তাঁর ছায়া সঙ্গী যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের নামে থানায় অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু করেছে। এরই মধ্যে কৃষ্ণেন্দুর নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে জটিলতার পেছনেও বিধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনার ছায়া দেখছেন তৃণমূল নেতাদের বড় অংশ।
কৃষ্ণেন্দু এখন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান। কৃষ্ণেন্দু শিবিরের দাবি, ১৯৮৫ সাল থেকেই তিনি নিরাপত্তারক্ষী পান। রাজ্যের মন্ত্রী থাকার সময় তাঁর রক্ষীর সংখ্যা ছিল ছ’জন। মন্ত্রী থাকার পাশাপাশি ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধানও ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে নীহারের কাছে হেরে গিয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু। এরপরেই তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কমে যায়। এখন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন তিনজন।
এদিন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কৃষ্ণেন্দু বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকেই জানতে পারি,তাঁদের তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই সময়ই আমি তাঁদের ছেড়ে দিয়েছি।’’ নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার নিয়ে সমস্ত স্তরেই জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও তিনজন নয়, একজন রক্ষীকে রুটিন মাফিক বদল করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘বদলির জন্য একজনকে সরানো হয়েছিল। তবে উনি(কৃষ্ণেন্দু) নিজেই নিরাপত্তারক্ষীকে ফেরৎ পাঠিয়েছেন।’’
প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ঘটনায় দলের কোনও বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর। তিনি বলেন, ‘‘এখানে দলের কোনও বিষয় নেই। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও কৃষ্ণেন্দুবাবু দু’জনেরই সঙ্গেই কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy