Advertisement
E-Paper

বিন্দু বিন্দু বাঁচিয়ে সিন্ধু গড়ার নির্দেশ

০.৫ মিলিলিটারের প্রতিটি ডোজ় মূল্যবান। তাই এক ড্রপ প্রতিষেধকও যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য তৎপর হল স্বাস্থ্য দফতর।

সৌমিত্র কুণ্ডু

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৪২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পানীয় জলের বিজ্ঞাপন ‘বুন্দ বুন্দ মে জান হ্যায়’-এর আদলে বলা যেতেই পারে, ‘ভায়াল মে জান হ্যায়’। কারণ, ওই ভায়ালেই থাকছে করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ড। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিষেধকের মূল্য পানীয় জলের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।


০.৫ মিলিলিটারের প্রতিটি ডোজ় মূল্যবান। তাই এক ড্রপ প্রতিষেধকও যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য তৎপর হল স্বাস্থ্য দফতর। কোভিশিল্ডের একটি ভায়ালে ১০টি ডোজ় থাকার কথা। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, ভায়ালে ১০টির বেশি ডোজ় বাড়তি থাকছে। তাই সতর্ক না থাকলে তা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। এটা নজরে এসেছে স্বাস্থ্যকর্তাদেরও। তাই বাড়তি ডোজ় যাতে নষ্ট না হয়, তা যেন অন্য জনকে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়, সেজন্য নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর।


১৬ জানুয়ারি প্রতিষেধক দেওয়া শুরুর প্রথম দিন বিষয়টি নজরে আসার পরেই রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা ওই নির্দেশ দিয়েছেন। জেলাগুলোতেও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের, বিশেষ করে প্রতিষেধক কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-৩ এবং প্রতিষেধক দেওয়ার সমস্ত কেন্দ্রের নোডাল অফিসারদের তা জানানো হয়েছে।


স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম অধিকর্তার চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভায়ালে বাড়তি ডোজ থাকলে তা যেন কোনও ভাবেই নষ্ট করা না হয়। বুধবার জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু প্রতিটি ডোজ় ০.৫ মিলিলিটারের,তাই যদি দেখা যায় ১০ জনকে দেওয়ার পর কোনও ভায়ালে ০.২ মিলিলিটার বাড়তি রয়েছে, তখন অপর ভায়াল থেকে ০.৩ মিলিলিটার নিয়ে একটি ডোজ় যেন সম্পূর্ণ করে নেওয়া হয়।


দার্জিলিং জেলার সিএমওএইচ প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অনেক জায়গায় একটি ভায়ালে নির্দিষ্ট করা ১০টি ডোজ দেওয়ার পরেও বাড়তি প্রতিষেধক থাকতে দেখা গিয়েছে। তা আরও একজনকে দেওয়া হচ্ছে।’’ কোচবিহার মেডিক্যালের সুপার রাজীব প্রসাদ জানান, স্বাস্থ্য দফতরের ওই নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে। একটি ডোজ়ের কম প্রতিষেধকও যদি পড়ে, তার সঙ্গে একাধিক ভায়াল থেকে প্রয়োজন মতো প্রতিষেধক নিয়ে একটি ডোজ় তৈরি করা হচ্ছে।


স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কয়েকজন জানান, স্বাস্থ্য দফতর যথাযর্থই নির্দেশ দিয়েছে। এমনিতে যখন প্রতিষধক পাঠানো হয় তখন ৩ শতাংশ বাফার বা বাড়তি প্রতিষেধক পাঠানো হয় নষ্ট হওয়ার কথা মাথায় রেখে। তা ছাড়া সমস্ত মানুষকে দিতে এমনিতেই প্রয়োজন মতো ডোজ় পেতে সময় লাগবে। তাই বেশি সংখ্যায় মানুষকে দেওয়ার জন্য ভায়ালে বাড়তি ডোজ় যাতে নষ্ট করা না হয় তা দেখা জরুরি।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy