কলকাতায় ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ করেছিলেন দলের গোটা রাজ্য নেতৃত্বকে পাশে নিয়ে। সেই একই ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ যখন পৌঁছোল তাঁর নিজের জেলায় তথা শহরে, তখন দলের সঙ্গে জুড়ে গেল পরিবারও। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ দেশের সশস্ত্র বাহিনী যে পরাক্রম দেখিয়েছে, তাকে সম্মান জানাতে সোমবার বালুরঘাটে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করল বিজেপি। সেই মিছিলে স্থানীয় সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশে দলের জেলা নেতৃত্ব এবং বিধায়কদের তো দেখা গেলই, দেখা গেল সুকান্তের পরিবারকেও। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিলে হাঁটলেন সুকান্তর স্ত্রী কোয়েল চৌধুরী মজুমদার। আর বাবা-মায়ের সামনে সামনে হাঁটতে দেখা গেল সুকান্তর সাড়ে চার বছরের কন্যা শ্রীময়ীকে।

জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিলে হাঁটলেন সকলে। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সুকান্তের পরিবারকে দেখা যায় না। সুকান্ত নিজেও রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে নিজের পরিবারকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন। তবে অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে আগেও শামিল হতে দেখা গিয়েছে সুকান্তের পরিবারকে। বলা ভাল, তাঁর স্ত্রী কোয়েলকে। আরজি কর পর্বে যখন রাজ্য-সহ গোটা দেশ উত্তাল, সেই সময় প্রতিবাদ মিছিলে মোমবাতি হাতে বালুরঘাটে হেঁটেছিলেন সুকান্ত-পত্নী। তবে সোমবার সুকান্ত-কোয়েলের সঙ্গে তিরঙ্গা কাঁধে নিয়ে মিছিলের সামনে সামনে হাঁটল শ্রীময়ীও।
সুকান্তের ঘনিষ্ঠেরা জানাচ্ছেন, শ্রীময়ী সব সময়েই বাবার সঙ্গে সঙ্গে থাকতে চায়। কিন্তু কাজের কারণে সুকান্ত কখনও দিল্লি, কখনও আবার কলকাতায় থাকেন। তবে যখনই নিজের শহর বালুরঘাটে ফেরেন তখন বাবাকে কাছ ছাড়া করতে চায় না শ্রীময়ী। যদিও বালুরঘাটে থাকলেও কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মেয়ে বা স্ত্রীকে নিয়ে যান না সুকান্ত। তবে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ যে হেতু অরাজনৈতিক কর্মসূচি, সেখানে দলীয় পতাকা নেই, তাই সপরিবার মিছিলে হাঁটলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
আরও পড়ুন:
মিছিলে মেয়ের হাঁটা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘এমনিতে শ্রীময়ী একটা জাতীয়তাবাদী পরিবারে বড় হচ্ছে। জাতীয়তাবাদ বা দেশপ্রেম ছোট থেকেই শেখানো উচিত। শ্রীময়ীকেও আমরা সে ভাবেই বড় করছি। ‘তিরঙ্গা যাত্রা’য় ও অংশ নিক, তা নিয়ে আমাদের উৎসাহ যেমন ছিল, ওরও উৎসাহ কম ছিল না।’’