দুই পক্ষের সংঘর্ষের মুহূর্ত। — নিজস্ব চিত্র।
চাঁদা নিয়েও মিষ্টির প্যাকেট দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ ঘিরে ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধল মালদহের রতুয়ার সম্বলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। এমন নজিরবিহীন ঘটনার পিছনে কী কারণ তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মালদহের স্কুল পরিদর্শক (ডিআই)।
বৃহস্পতিবার রতুয়ার সম্বলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য মিষ্টির প্যাকেটের ব্যবস্থা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাকি ছাত্রদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। আর তা নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। ছাত্রদের দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনার জন্য তাদের প্রত্যেকের থেকে ৬০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও তাদের জন্য স্কুল মিষ্টির প্যাকেটের ব্যবস্থা করেনি বলে তাদের অভিযোগ। এ নিয়েই শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রদের বিবাদ বাধে। পরবর্তী কালে তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। পড়ুয়াদের একাংশ লাঠি, বাঁশ নিয়ে শিক্ষকদের তাড়া করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী। এর পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
এ প্রসঙ্গে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আহসানুল হক বলেন, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উপহার এবং মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। বাকি সকলেই মিষ্টি চাইছিল। সেটা নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়। তবে স্কুলের বাইরে কিছু হলে জানা নেই। কারণ পড়ুয়াদের পাশাপাশি বাইরের লোকও জড় হয়েছিল।’’
স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিষয়টি সামাজিক দিক থেকে খারাপ। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মিষ্টির প্যাকেট আমরা বরাবর দিই। কিন্তু বাকিরাও তা দাবি করে। এই স্কুলে মোট ২,২০০ ছাত্র। সকলকে মিষ্টি দিতে গেলে লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন। আমরা অত টাকা পাব কী ভাবে? ফেয়ারওয়েলের জন্য আমরা টাকা নিই না।’’
ঘটনার কথা শুনে মালদহের ডিআই সুজিত সামন্ত বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়েছি। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy