E-Paper

ইডি অভিযানের ছড়ানো ‘খবরে’ দিনভর তোলপাড় জলপাইগুড়ি

একশো দিনের কাজের অনিয়মের তদন্তে এ বার ইডি সক্রিয় হয়েছে। সে তদন্তেই জলপাইগুড়ি জেলায় ইডি এসেছে বলে এ দিন সকালে খবর চাউর হয়। পুলিশ এবং প্রশাসনের মধ্যেও সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০২
An image of ED

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সকাল থেকে ইডি অভিযান নিয়ে চর্চা চলল জলপাইগুড়িতে। যদিও মঙ্গলবার জেলার কোনও প্রান্তেই এমন অভিযান হয়েছে বলে খবর নেই পুলিশ বা জেলা প্রশাসনের কাছে। অথচ, পুলিশ এবং প্রশাসনের অন্দরেই মঙ্গলবার সাতসকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইডির গতিবিধি নিয়ে একের পরে এক ‘খবর’ ছড়িয়ে পড়ল। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে ইডি অভিযানের খবর সামনে এসেছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “এক এক বার এক এক রকম অভিযানের কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষে কোনওটিরই সত্যতা মেলেনি। পুলিশের সঙ্গেও আমরা তথ্য যাচাই করেছি।”

একশো দিনের কাজের অনিয়মের তদন্তে এ বার ইডি সক্রিয় হয়েছে। সে তদন্তেই জলপাইগুড়ি জেলায় ইডি এসেছে বলে এ দিন সকালে খবর চাউর হয়। পুলিশ এবং প্রশাসনের মধ্যেও সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। বার বার পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফে খোঁজ নেওয়া হতে থাকে ইডি দলের গতিবিধির। বিশেষত, জলপাইগুড়ির যে যে ব্লকগুলিতে এর আগে একশো দিনের কাজের তদন্তে কেন্দ্রীয় দল এসেছিল, সে ব্লকগুলিতে ‘নড়াচড়া’ শুরু হয়ে যায়। যদিও রাত পর্যন্ত ইডি অভিযানের কোনও খবর নেই।

এ দিন সকালে প্রথমে শোনা যায়, ময়নাগুড়ি এবং ধূপগুড়ি ব্লকে ইডি অভিযান চলছে। তার পরে শোনা যায়, ধূপগুড়িতে নয়, ডুয়ার্সে অভিযান শুরু হয়েছে। ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে এর আগে ডুয়ার্সে একাধিক বার ইডি অভিযান চালিয়েছে। কয়েকটি রিসর্টও ইডির কব্জায় রয়েছে। সে সূত্রেই ইডির দল এসেছে বলে চাউর হয়। পুলিশের তরফেও খোঁজখবর শুরু হয়। যদিও তার কোনও সত্যতা মেলেনি। বেলা বাড়তে শোনা যায়, রাজগঞ্জ ব্লকে ইডির অভিযান চলছে। যদিও তারও সত্যতা মেলেনি শেষ অবধি।

সদ্য ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়া ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সম্পত্তির খোঁজে ইডি জলপাইগুড়িতে এসেছে বলে দাবি করা হয়। হেমন্তের এক আত্মীয়ের কিছু জমি এবং রিসর্ট রানিনগর এলাকায় রয়েছে বলে দাবি। তার খোঁজে এর আগেও ইডি তল্লাশি হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ইডির তরফে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এমন কোনও খবরও নেই।” জলপাইগুড়ি সদর, রাজগঞ্জ এবং ক্রান্তি ব্লকের কয়েকটি কাজ নিয়ে রিপোর্টও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। যদিও প্রশাসনের তরফে দাবি, তাতে অনিয়ম মেলেনি, প্রশাসনের পাঠানো রিপোর্টেও কেন্দ্রীয় দল সন্তুষ্ট হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

ED Raids Jalpaiguri 100 days job

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy