Advertisement
E-Paper

তালিকায় নেতার ছেলে, পঞ্চায়েতে তালা

আগেও একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে একই অভিযোগে বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বারবার কেন এমন অভিযোগ উঠছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাপি মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ০৭:৩৯
দাবি: মহানন্দপুর পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ পরিযায়ী শ্রমিকদের। নিজস্ব চিত্র

দাবি: মহানন্দপুর পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ পরিযায়ী শ্রমিকদের। নিজস্ব চিত্র

কোনও দিন ভিন্ রাজ্যে যাননি। যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলে তিনি। তাঁর নামও রয়েছে তালিকায়। নাম রয়েছে এক পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইপো, শ্বশুরেরও। তালিকায় নাম রয়েছে পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের পরিদর্শকেরও। কিন্তু প্রকৃত শ্রমিকদের অনেকেরই তালিকায় নাম নেই বলে অভিযোগ।

আর এমনই অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। পঞ্চায়েত প্রধান ও কর্মীদের ভিতরে আটকে দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন। সোমবার মালদহের চাঁচলের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে তালা খোলা হয়।

আগেও একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে একই অভিযোগে বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বারবার কেন এমন অভিযোগ উঠছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এ দিন তালিকা তৈরিতে বেনিয়মের দায় নিতে চাননি কংগ্রেস চালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।

চাঁচল-১ ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য় বলেন, শ্রমিক নন, তালিকায় এমন কেউ থেকে থাকলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকরা মাসে ৩০ কিলোগ্রাম চাল ও ২ কিলোগ্রাম ছোলা পাবেন। সে জন্য বিভিন্ন পঞ্চায়েতে তাঁদের রেশনের কুপন দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু কুপন বিলি শুরু হতেই বিভিন্ন পঞ্চায়েতের তালিকায় প্রকৃত প্রাপকদের নাম না থাকার পাশাপাশি দোতলা বাড়ির মালিক থেকে নেতা, পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে বা আত্মীয়ের নাম রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ দিন মহানন্দপুর পঞ্চায়েতে কুপন নিতে গিয়ে শ্রমিকরা জানতে পারেন, অনেকেরই নাম তালিকায় নেই। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে, ভাইপোর নাম তালিকায় রয়েছে জানতে পেরে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, তালা ঝুলিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মধ্যে এক সময় তালা খুলে প্রধানের দিকে তেড়ে যান শ্রমিকদের একাংশ।

মুম্বই থেকে ফিরে আসা শ্রমিক আনেসুল আলি, দিল্লি থেকে ফেরা শেখ রিন্টু বলেন, এলাকায় কাজ নেই। সরকার আমাদের রেশন দিচ্ছে। কিন্তু তালিকায় আমাদের নাম নেই। অথচ পঞ্চায়েত সদস্যের ঘনিষ্ঠরা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন।

প্রধান গোপাল চৌধুরী অবশ্য বলেন, তালিকা প্রশাসন করেছে। প্রকৃত শ্রমিকরা যাতে কুপন পান তা আমরাও চাই। কিন্তু তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে পঞ্চায়েতের বদনাম করতে শ্রমিকদের উস্কানি দিচ্ছে।

উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, কংগ্রেস, তৃণমূল যেই হোক, লুটপাট ওদের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। সাংসদের অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক মোস্তাক আলম।

Covid-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy