মহিলা হোক বা ছাত্র, যুব বা শ্রমিক। যে কোনও সংগঠনে যে কাউকে যোগদান করাতে হলে এখন থেকে জেলা তৃণমূল সভাপতির অনুমতি প্রয়োজন। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সব সংগঠনকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক বেড়েছে। জলপাইগুড়িতে দলে যোগদানের কয়েক হাজার আবেদন জমা পড়েছে বলে তৃণমূলের দাবি। সেই আবেদনগুলি খুঁটিয়ে পরীক্ষা চলছিল। তার মাঝেই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়। নতুন সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই মহুয়া গোপ নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া কাউকে দলে নেওয়া যাবে না।
জেলায় কোর কমিটিও নতুন করে গঠন করে দিয়েছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। সেই কোর কমিটির বৈঠকেও এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এওই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে একদিকে যেমন দলের সর্বস্তরের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা রয়েছে তেমনিই অন্যান্য দল থেকে ‘অবাঞ্ছিত’ যোগদান যেন না হয় তার দিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের অন্দরে সিদ্ধান্ত হয়েছে যাঁরা একসময়ে বিজেপিতে ‘অতি সক্রিয়’ ছিলেন তাঁদের দলে নেওয়ার আগে রাজ্যের অনুমতি নেওয়া হবে। সম্প্রতি কয়েকটি সভায় একসঙ্গে পঞ্চাশ বা শতাধিক লোকজন যোগদান করেছে। তাঁদের মধ্যে অনভিপ্রেত কয়েকজনও দলে যোগ দিয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের দাবি। সেজন্যই কড়াকড়ি বলে খবর।
মহুয়া গোপ বলেন, “নেতৃত্বকে না জানিয়ে কিছুতেই দলে যোগদান করানো যাবে না। সে কথা সর্বস্তরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং সেই মতোই কাজ চলছে।”
জেলায় সব সংগঠনের কর্মসূচিতেও সমন্বয় রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন নেতৃত্ব। যে কোনও শাখা সংগঠন ছোট বড় যে ধরনেরই কর্মসূচি নিক না কেন আগে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের থেকে অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও বিভিন্ন শাখা সংগঠনকে নানা কর্মসূচি দিচ্ছে। এতদিন দলের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে নিজের মতো কর্মসূচি নিতে দেখা যেত। নতুন সভাপতির নির্দেশ, সব পক্ষকে একসঙ্গে রেখে কর্মসূচি নিতে হবে। আগেভাগে না জানিয়ে একটি কর্মসূচি আয়োজন হওয়ায় দিনকয়েক আগে জলপাইগুড়ির একটি দলীয় অনুষ্ঠানে আসবেন না বলে জেলা সভাপতি জানিয়ে দিয়েছিলেন বলে খবর। পরে অনুষ্ঠানটি পিছনো হয়।