Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
TMC

Malda: আসি-যাই মাইনে পাই! আচমকা মালদহ মেডিক্যালে গিয়ে ডাক্তারদের তোপ নির্মলের

তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি, ‘‘আমরা এঁদের বিধানসভায় শোকজ করব। স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে তাঁদের কাছে কৈফিয়ত চাইব।’’

চিকিৎসকদের হার্মাদ বলেও তোপ দাগেন নির্মল।

চিকিৎসকদের হার্মাদ বলেও তোপ দাগেন নির্মল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ১৫:২৭
Share: Save:

মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সরব হলেন খোদ বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা চালু করেছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু পরিষেবাই পাচ্ছেন না রোগীরা। কারণ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ থেকে চিকিৎসক, সবাই আসি যাই মাইনে পাই-তে বিশ্বাসী।’’ তাঁর অভিযোগ, সিপিএমের বেশ কয়েক জন চিকিৎসক ও তাঁদের সংগঠনের ছত্রছায়ায় কয়েক জন চিকিৎসক এবং কর্মী এই ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এই সমস্ত চিকিৎসককে চিহ্নিত করে বিধানসভায় শোকজ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্মল।
ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিড মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন মালদহ শাখার তৃতীয় বর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার সন্ধ্যায় মালদহে আসেন নির্মল। তার মধ্যে ঝটিকা সফরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে হাসপাতাল সুপারের দেখা না পাওয়ায় বেজায় চটে যান তিনি।

নির্মলের কথায়, ‘‘করোনার ধাক্কা সামলে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মাতৃমা’র মতো প্রকল্প হয়েছে। ডায়ালিসিস, সিটিস্ক্যান, এমআরআইয়ের মতো পরিষেবা চালু হয়েছে। পাশাপাশি ট্রমা কেয়ার সেন্টারও চালু হয়েছে। কিন্তু আরও কিছু অভাব-অভিযোগ পেয়েছি আমরা।’’ তাঁর মতে, ‘‘বিহার-ঝাড়খণ্ডে বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পরিষেবা নেই। সেখানকার মানুষ পরিষেবা পেতে এখানে আসেন। কিন্তু সরকার এত কাজ করা সত্ত্বেও ‘আসি-যাই মাইনে পাই’ হিসেবে কাজ করছেন কয়েক জন চিকিৎসক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিশেষ করে মালদহে এই ব্যাপারটা প্রকট হয়েছে। প্রিন্সিপাল সুপার এখানে সপ্তাহে তিন দিনের বেশি আসেন না। আমি তো ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে এসেছি। বেশ কিছু সিপিএম জমানার হার্মাদ এবং সিপিএমের স্বাস্থ্য সংগঠন ‘হেলথ সার্ভিস অব ডক্টর্স’-এর সদস্যরা কাজে ঢিলেমি করছেন।’’ তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি, ‘‘এঁদের ‘কাউকে মানি না হাবভাব’। আমরা এঁদের বিধানসভায় শোকজ করব। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকেও তাঁদের কাছে কৈফিয়ত চাইব।’’

এখানেই থামেননি নির্মল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ছ’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার আছে। কেউই কাজ করেন না। কলকাতার সব হাসপাতালে সুপাররা আট ঘণ্টা করে কাজ করেন। কিন্তু এখানকার কোনও অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে খুঁজে পাইনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE