তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার। —নিজস্ব চিত্র।
উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ থেকে কাটমানি দাবি করছেন দলের নেতারা৷ কাটমানি না দিলে বাড়িতে চড়াও হওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ করে এ বার কংগ্রেসে যোগ দিলেন মালদহের এক পঞ্চায়েত সদস্যা। তৃণমূলের ওই সদস্যার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘কাটমানিও দেব না, দলেও থাকব না।’’ ওই পঞ্চায়েত সদস্যার সঙ্গে দল ছাড়লেন তৃণমূলের শতাধিক মহিলা কর্মীও। যদিও দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগই অস্বীকার করেছে শাসকদল।
সোমবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে চাঁচলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর বুথের সদস্য ফুলমণি দাস। হাত শিবিরের পতাকা হাতে নিয়ে ফুলমণির অভিযোগ, উন্নয়নের জন্য যে টাকা এসেছে, সেখান থেকে কাটমানি চাইছেন দলের নেতারা। তা দিতে অস্বীকার করলে বাড়ি এসে হুমকিও দিচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব এই অভিযোগকে ‘মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে। চাঁচল-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, ‘‘ফুলমণি দাসের অভিযোগ মিথ্যে। ওঁর কাছ থেকে কেউ টাকা চায়নি। আসলে উনি টাকার ভাগ পাচ্ছেন না বলেই দলত্যাগ করেছেন।’’
ঘটনাচক্রে, এক মাসের ব্যবধানে এ নিয়ে শাসকদলের দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য দলত্যাগ করলেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন জেলার রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা। যদিও তৃণমূলের দাবি, এতে কোনও প্রভাবই পড়বে না আসন্ন নির্বাচনে। আফসার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্যার দলত্যাগে আমাদের কিছুই আসবে-যাবে না। আমাদের দল আরও শক্তিশালী হবে।’’
পঞ্চায়েত সদস্যার দলত্যাগ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। চাঁচলের বিজেপি নেতা সুমিত সরকার বলেন, ‘‘শুধু কংগ্রেসেই নয়, বিজেপিতেও যোগদান করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যে যে দিকে পারছেন, ছুটছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy