প্রতীকী ছবি।
জনসংযোগে এ বার কোচবিহারে যুব তৃণমূলের হাতিয়ার ‘মর্নিং মিট’। শুক্রবার সকালে কোচবিহার শহরে ওই কর্মসূচি হয়। একাধিক এলাকা ঘুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক ও অন্য নেতা-কর্মীরা। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ শনিবার তুফানগঞ্জ পুরসভা এলাকায় ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানেও থাকার কথা সংগঠনের জেলা নেতাদের। ভাইফোঁটার পরে জেলার দিনহাটা, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি পুরসভাতেও ওই কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম দিনের কর্মসূচিতে সব পুরসভা এলাকাতেই জেলা নেতাদের থাকার কথা রয়েছে। তবে কর্মসূচি জারি রাখতে এ ভাবে মাঝেমধ্যেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সকাল সকাল রাস্তায় নেমে পড়ার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই বাসিন্দাদের মন জয় করতে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ অবশ্য বলেন, “সারা বছরই মানুষের পাশে থেকে আমরা কাজ করি। করোনা পরিস্থিতিতে সেটা আরও বাড়ানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমরা বাসিন্দাদের কথা শুনতে চাইছি। পুর পরিষেবা থেকে অন্য কোনও সমস্যা থাকলে খোঁজ নিচ্ছি। সাড়াও মিলছে।”
সংগঠনের অন্দরের খবর, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে মর্নিং মিটের পরিকল্পনা। বিজেপির যুব মোর্চার নেতারা অবশ্য বলছেন, তাতেও লাভ হবে না। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি অজয় সাহা বলেন, “শহর হোক বা গ্রাম, মানুষ যে তৃণমূলের পাশে নেই, তা গত লোকসভা ভোটেই স্পষ্ট। বিধানসভা ভোটের আগে তাই দিশেহারা হয়ে এ সব কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। লাভ কিছু হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy