ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূল নেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায় দল থেকে পদত্যাগ করায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজেপি জনজাগরণ সভায় মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষদের হাত ধরে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন বলে তৃণমূলের অন্দরেই এখন জোর আলোচনা। শিখাদেবী জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। তিনি রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন। বুধবার দলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীতে স্পিড পোস্টে চিঠি দিয়ে দল থেকে এবং রাজগঞ্জের বিডিও-কে পদ ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। শিখাদেবীর মতো শিলিগুড়ি একদল বিক্ষুব্ধ যুব নেতাও দল ছাড়তে পারেন বলেও খবর।
গত ৬ ডিসেম্বর আশিঘর এলাকার একটি জমির গোলমালের সময় শিখাদেবী আক্রান্ত হন। দলেরই একদল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। মন্ত্রী গৌতম দেব তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন তখন। দলীর সূত্রের খবর, সেই সময় শিখাদেবীকে টেলিফোন করে তাঁর শারীরিক অবস্থায় খোঁজখবর নেন মুকুল রায়ও। দল ছাড়াও কথা স্বীকার করলেও নতুন দল নিয়ে এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি শিখা। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে আমরা প্রথম দিন থেকে আছি। আর থাকা যাচ্ছে না। জমির দালাল, আক্রমণকারীদের দল প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমাদের কোনও মর্যাদা নেই। তাই অনেক কষ্ট নিয়ে দল ছাড়লাম। নতুন কোথায় যাব না, কি রাজনীতি ছেড়ে দেব— সব আমার অনুগামীদের নিয়ে বসে ঠিক করব।’’
শিখার দলত্যাগ নিয়ে তৃণমূলের জেলা নেতারা দুপুর থেকেই আলোচনা শুরু করেন। এই ‘সংক্রমণে’ যাতে অন্য বিক্ষুব্ধরাও দল না ছাড়েন, সে জন্য তাঁদের বোঝানোও শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উনি পদত্যাগ করেছেন শুনেছি। যোগাযোগ করতে পারিনি।’’ গৌতম দেব বলেন, ‘‘যাঁরা দলনেত্রীকে ভালবাসেন, তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে কোথাও যাবেন না।’’
উল্টো দিকে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, শুধু শিখাই নন, তাঁদের সভায় শাসকদল থেকে অনেকেই যোগ দেবেন। নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া, শিলিগুড়ি, ডাবগ্রাম থেকে অনেকে যোগাযোগ করছেন বলেও দাবি করেন। এদের অনেকে এখনই যোগ দিচ্ছেন। অনেক পঞ্চায়েত সদস্য, নেতানেত্রী সময়মতো যোগ দেবেন। জেলা বিজেপি সভাপতি প্রবীণ অগ্রবাল বলেন, ‘‘কারা যোগ দেবে, তা সবাই দেখতে পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy