জেলা পরিষদের পর এ বার হাত ছাড়া পঞ্চায়েত সমিতি৷ মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ফের একবার বড় ধাক্কা খেল জলপাইগুড়ি জেলা সিপিএম৷
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ দখল নিশ্চিত করার পরে এ বার জেলায় বামেদের হাতে থাকা একমাত্র পঞ্চায়েত সমিতি জলপাইগুড়ি সদরও দখল নিশ্চিত করল শাসকদল তৃণমূল৷ বাম ও কংগ্রেস ছেড়ে সতেরো জন সদস্য তাঁদের শিবিরে নাম লেখানোয় এই মুহুর্তে জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়ে গেল৷ স্বাভাবিক ভাবেই এর জেরে জেলায় আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল বামেরা৷
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়িতে একটি আসনও পায়নি বামফ্রন্ট৷ তবে তার আগে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ ও সাতটি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ছয়টি দখল করেছিল বামেরা৷ যে ছ’টির মধ্যে পাঁচটি আগেই হাত ছাড়া হয়েছিল তাদের৷ বাকি ছিল একমাত্র জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতি৷ এরই মধ্যে গত সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ছয় বাম সদস্যকে নিজেদের দিকে টেনে সেখানেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস৷ এরপর তৃণমূল নেতাদের লক্ষ্য যে জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতি দখল, তা আগে থেকেই খানিকটা আঁচ করেছিলেন সিপিএমের অনেক নেতাই ৷ কিন্তু সেটা যে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানেই হবে, সেটা অনেকে ভাবতে পারেননি৷
২০১৩ সালের নির্বাচনে ৪১ আসনের জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির ৩৪টি ছিল বামেদের দখলে৷ তিনটি ছিল কংগ্রেসের দখলে৷ আর তৃণমূল কংগ্রেসে দখলে ছিল চারটি আসন৷ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে তৃণমূলের মোট ২১ জন সদস্য দরকার ছিল৷ বামফ্রন্টের চোদ্দ জন ও কংগ্রেসের তিন জন সদস্য মিলে মোট সতেরো জন যোগ দেওয়া স্বাভাবিকভাবেই এদিন ম্যাজিক সংখ্যা ২১-এ পৌঁছে গেল শাসকদল৷
জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয় বর্মণ জানান, শুক্রবার জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাবেন তাঁরা৷ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্যের কথায়, ‘‘শুনছি তো অনেককে নাকি বন্দুকের নলও দেখানো হয়েছে৷ গণতন্ত্রের পক্ষে এ ধরনের ঘটনা বিপজ্জনক।’’ ত়ৃণমূল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy