প্রতীকী ছবি।
এনজেপি থেকে সুকনা পর্যন্ত রুটে টয় ট্রেন নিয়ে এর আগে রেলের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা কাজে লাগেনি। সেই রুটেই বড়দিন উপলক্ষে নতুন করে আট দিনের জন্য জয়রাইড চালাতে উদ্যোগী হয়েছে রেল। সূর্য ডোবার পর মাত্র দু’টি স্টেশন গিয়ে ঘুরে আসতে টিকিটের দাম রাখা হয়েছে মাথাপিছু ১২০০ টাকা। এই রুটে এত ভাড়া দিয়ে আদৌ যাত্রীরা চড়বেন কিনা, তা নিয়েই সংশয়ে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, রেলের যে কোনও প্যাকেজ তাঁদের মাধ্যমেই যাত্রী বা পর্যটকদের কাছে পৌঁছয়। অথচ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই রেলের এই সিদ্ধান্ত।
করোনার আগে এর আগে রংটং ইভনিং জঙ্গল সাফারি চালু করা হয়। পরে তা যাত্রীর অভাবে এমনিতেই উঠে যায়। রেল ওই পরিষেবার ভোল বদল করে রংটং ডাইনিং সাফারি চালু করে। তাও যাত্রীর অভাবে প্রায় ধুঁকছিল। পরে সেটিকেই চার্টার্ড পরিষেবায় বদল করা হয়। এ বার সেই অ-লাভজনক রুট নিয়ে ফের নতুন পরীক্ষা রেলের। তবে তা অল্প দিনের জন্য। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অধিকর্তা প্রিয়াংশু বলেন, ‘‘আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পরিষেবা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে মাঝখানে ২৭ এবং ২৮ ডিসেম্বর তা বন্ধ থাকবে।’’ বিকেল ৫টায় ছেড়ে সুকনায় ২০ মিনিটের বিরতি দিয়ে সন্ধে সাড়ে ৭টায় ঘুরে আসবে ট্রেনটি।
এর আগে বিকেল ৩টের সময় চালানো একই রুটে ট্রেন চলেনি। এটা বিকেল ৫টায়। যে সময় প্রায় অন্ধকার নেমে আসে। ডিসেম্বর পর্যটনের মরসুম নয়। সুকনায় গিয়ে ফিরে আসতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যাবে চার দিকে। সেই অর্থে ধরতে গেলে দু’টি স্টেশনের নাইট সাফারি।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন এইচএইচটিডিএনের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘যে কোনও বিষয় পরিকল্পনা করে তবে শুরু করা উচিত। আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে কিছু আলোচনা রেল করেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy