E-Paper

সরগরম বাজার, খুশি ব্যবসায়ীরা

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার দোকানগুলিতে জামা-কাপড়, গালামাল, ফল-সহ অন্য সামগ্রী শিলিগুড়ির বাজার থেকে সরবরাহ করা হয়। তাই শিলিগুড়িতে ব্যবসা অনেক বেশি হয়।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪২
চলছে কেনাকাটা।

চলছে কেনাকাটা। নিজস্ব চিত্র।

নববর্ষের মুখে ইদে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। প্রতি দিন সকাল থেকেই বাজারে বাজারে ভিড় জমছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে তা আরও বাড়ছে। শুধু বড় কোনও বাজার নয়, গ্রামের ছোট বাজারগুলিতেও একই ছবি। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে একই পরিস্থিতি। জলপাইগুড়িতে অবশ্য ব্যবসায় কিছুটা মন্দা রয়েছে।

কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সূরজ ঘোষ বলেন, ‘‘এ বারে ইদ ও নববর্ষের বাজার জমে উঠেছে। তবে করোনার আগে যে ধরণের ব্যবসা হত। এখন তা হয় না। সেই অবস্থা ফিরতে হয়তো আরও সময় লাগবে।’’ মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উত্তম বসাক বলেন, ‘‘ইদ আর চৈত্র সেলের বাজার এক সঙ্গে থাকায় গত বছরের থেকে ভাল ব্যবসা হচ্ছে ঠিকই, তবে জেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাজার এখনও সে ভাবে জমে ওঠেনি। আশা করছি, শেষ মুহুর্তে বাজার আরও জমে উঠবে।’’

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার দোকানগুলিতে জামা-কাপড়, গালামাল, ফল-সহ অন্য সামগ্রী শিলিগুড়ির বাজার থেকে সরবরাহ করা হয়। তাই শিলিগুড়িতে ব্যবসা অনেক বেশি হয়। বৃহত্তর শিলিগুড়ি খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় মুহুরি বলেন, ‘‘ইদ, রামনবমী, বাংলা নববর্ষের এই সময় কয়েকশো কোটি টাকার কেনাবেচা হয়। এখনও করোনার আগের মতো অবস্থায় না ফিরলেও গত বছরের তুলনায় ব্যবসা আংশিক বেড়েছে।’’ মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “মালদহ ছোট জেলা হলেও ব্যবসা ভাল হয়। এ বার ইদ এবং চৈত্র সেলের বাজার জমে উঠেছে। আশা করছি, জেলার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।”

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইদ ও নববর্ষের বাজার প্ৰতি বছরে এক সময়ে হয় না। ফলে একই সময়ে এত কেনাকাটা তেমন ভাবে হয় না। এ বারে দু’টি উৎসব একসঙ্গে থাকায় ভাল ব্যবসার আশায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে জামাকাপড়, প্রসাধনী দ্রব্য এবং মুদির দোকানে বেশি কেনাকাটা হবে বলেই ধরে নেওয়া হয়। যদিও অনলাইনে কেনাবেচার ঝোঁক এবং শপিং মলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কিছুটা চাপে ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

‘পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের’ সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ‘‘সারা বছর বিক্রির পরে বেশিরভাগ পোশাকের দোকানে ৩০-৪০ শতাংশ পোশাক থেকে যায়। চৈত্র সেলের সময়ে সে সব পোশাক ১০-৩০ শতাংশ লাভে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এ বছর এখনও চৈত্র সেলের বাজার না জমলেও ইদের বাজার জমতে শুরু করেছে। আশা করছি, লোকসান তেমন হবে না।’’

তথ্য সহায়তা: সৌমিত্র কুন্ডু, অনির্বাণ রায়, নীতেশ বর্মণ, গৌর আচার্য, শান্তশ্রী মজুমদার, অভিজিৎ সাহা ও হিতৈষী দেবনাথ

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy