Advertisement
E-Paper

দেড় কিমি যেতে লাগে ৫০ টাকা!

জলপাইগুড়ি শহরের গা ঘেঁষে থাকলেও যোগাযোগে এখনও বিচ্ছিন্ন এই এলাকা। শহরের যে কোনও এলাকা থেকে গোশালা মোড় পর্যন্ত যাওয়ার শতাধিক টোটো মেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৫৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কুড়ি ফুটের জাতীয় সড়ক দুয়োরানি করে রেখেছে পাতকাটা-রোড স্টেশনকে। জলপাইগুড়ি শহরের গা ঘেঁষে থাকলেও যোগাযোগে এখনও বিচ্ছিন্ন এই এলাকা। শহরের যে কোনও এলাকা থেকে গোশালা মোড় পর্যন্ত যাওয়ার শতাধিক টোটো মেলে। যদিও জাতীয় সড়ক পাড় করে দেড় কিলোমিটার দূরের জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে পৌঁছতে গেলে অন্তত ৫০ টাকা বেশি ভা়ড়া দিতে হয়। সন্ধ্যের পরে রোড স্টেশন যেতে হলে একাধিকবার বদল করতে হয় টোটো বা রিকশা। যার জেরে এই স্টেশনে যেতে নিত্য নাকাল হতে হয় বাসিন্দাদের।

জলপাইগুড়ি পুরসভায় যাতে জুড়ে দেওয়া হয় এলাকাটিকে, সেই প্রস্তাব এসেছে এর মধ্যেই। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের (এসজেডিএ) পরিকল্পনাতেও রোড স্টেশন এবং পাতকাটা এলাকা রয়েছে। তবুও যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো এই এলাকা। পঞ্চায়েত কর্মী প্রসেনজিৎ ঘোষকে কাজের সুবাদে নিয়মিত রোড স্টেশনে যেতে-আসতে হয়। প্রসেজনজিৎবাবুর অভিযোগ, “রোড স্টেশন শুনলেই টোটোতে ৫০ টাকা বেশি চায়। রিকশা ভাড়া উঠে যায় প্রায় একশো টাকায়। শহরের মধ্যেই ওই এলাকাকে ধরা হয়। অথচ এখনও কোনও যোগাযোগ গড়ে উঠল না।”

জলপাইগুড়ি পুর এলাকা এবং রোড স্টেশনের মাঝ দিয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। শুধু রোড স্টেশন নয়, জাতীয় সড়ক পাড় করে রয়েছে জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজও। লাগোয়া কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলও আছে। শিক্ষক দ্বীপায়ণ দত্ত বলেন, “বাড়ি থেকে বার হয়ে প্রথমে টোটো বা রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কেউ রাজি থাকলে তার সঙ্গে দরদাম করতে হয়। তাতেই অনেকটা সময় চলে যায়। তার পরেও কলেজের থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে জাতীয় সড়কের মুখে নামিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিদিন এই ভাবে নাকাল হই আমরা।’’

পাতকাটা অথবা স্টেশন লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদেরও প্রতিদিন শহরে যাতায়াত করতে হয়। সমস্যা তাঁদেরও। বাসিন্দাদের দাবি, শহর থেকে রোড স্টেশন পর্যন্ত সরকারি রুট ঘোষণা করে টোটো বা অটো চলার অনুমতি দিলে সমস্যা মিটবে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম সিটি বাস চালাক, দাবি বাসিন্দাদের। এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। রোড স্টেশন থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াতের জন্য রুট নির্দিষ্ট করে পরিবহণ দফতরকে টোটো বা অটো চালানোর আর্জি জানানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। সংস্থার চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “পাতকাটা তথা রোড স্টেশন এলাকাকে অত্যাধুনিক আলোয় সাজানো হয়েছে। এলাকার যোগাযোগও পরিকাঠামোও তৈরি করা হবে।”

Jalpaiguri জলপাইগুড়ি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy