বাইরে থেকে টাকা দিয়ে ফর্ম ভরতে হচ্ছে বলেও মানুষের অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
সরকারের আয়োজিত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বাজছে তৃণমূলের দলীয় গান। আর এই ঘটনা দেখেই হতবাক ক্যাম্পে আসা সাধারণ মানুষেরা। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের জালাস নিজামতারা আদর্শ বিদ্যাপীঠে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সরকারি ক্যাম্পে কেন দলীয় গান বাজবে? বারবার প্রশ্ন করার পরও এই উত্তর কিন্তু পাননি মানুষ। ক্যাম্পে আসা ব্যক্তিরা কাউকে কাউকে প্রকাশ্যেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা গেল। উপস্থিত মানুষদের অভিযোগ, যে সমস্ত গান বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে বেজে থাকে সেইগুলিই সকাল থেকে বাজানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মীরা সাধারণ মানুষকে ফর্ম ভরতে সাহায্য না করায় তাঁদের বাইরে থেকে টাকা দিয়ে ফর্ম ভরতে হচ্ছে বলেও মানুষের অভিযোগ।
ক্যাম্পে আসা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের কর্মী সারথি বিশ্বাস বলেন, ‘‘এগুলো অসভ্যতা হচ্ছে। কোনও সরকারি আধিকারিক কিছু বলছেন না। বিডিও সাহেব জানেন কি না আমার জানা নেই। মানুষকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই ক্যাম্প। কিন্তু ক্যাম্পে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলব তার কোন উপায় নেই। সকাল থেকে মাইকে তৃণমূলের স্লোগান চলছে। প্রতিবাদ করার মত কেউ নেই।’’ তাঁর অভিযোগ, মানুষকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। সরকারি কোনও আধিকারিক এর বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না বলেও, অভিযোগ করেন ক্যাম্পে আসা শঙ্কর মণ্ডল ।
তবে নিজামতারা অঞ্চলের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট অভিজিৎ রায় জানান, ‘‘খুব ভালো ভাবেই ক্যাম্প চলছে। অন্যান্য পরিষেবার পাশাপাশি এ বার স্বাস্থ্য পরিষেবাও যুক্ত হয়েছে ক্যাম্পে। সাধারণ মানুষরা খুব খুশি।’’ তবে মাইকে কেন তৃণমূলের গান চলছে? এর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘কোথাও এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমি দেখিও নি বা শুনিওনি। যদি ঘটে থাকে তাহলে তা উচিত হয়নি।’’ তবে এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিডিও অফিস থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের দ্বায়িত্বে থাকা লিটন কুমার বিশ্বাস ৷
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী গেরুয়া গোষ্ঠী। ফাঁসিদেওয়া ব্লক ১ বিজেপির মন্ডল সভাপতি অনিল ঘোষ জানান, ‘‘এই ঘটনা এই রাজ্যেই সম্ভব। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মানুষ এবং এলাকার সাধারণ মানুষ যাবেন। সেখানে তৃণমূলের স্লোগান দেওয়া বা গান চালানো কাম্য নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy