বুধবার সকাল ৮টা। মালদহের মানিকচকের গঙ্গাপাড়ে ফরাক্কা থেকে তখন আনা হয়েছে উন্নত মানের ক্রেন। ডুবুরি ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর টানা চার ঘন্টার চেষ্টায় দুপুর ১২টা নাগাদ খোঁজ মেলে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া একটি ট্রাকের। ট্রাকটি টেনে তুলতেই চালকের পাশের কেবিনের পাশে দেখা যায় এক যুবকের নিথর দেহ। ট্রাকের একাংশ ভেঙে দেহ বের করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মৃত যুবকের নাম সইদুল শেখ(১৮)। তিনি ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জের উদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ওই ট্রাকে তিনি সহকারি চালকের কাজ করতেন। নিখোঁজের তালিকায় সইদুলের নাম ছিল বলে দাবি পুলিশের। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “নিখোঁজদের মধ্যে তিন জনের নাম পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে সইদুল ওরফে ময়নার নাম ছিল। এ দিন তাঁরই দেহ উদ্ধার হয়েছে।”
দেহ উদ্ধার হতেই এ দিন কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃতের পরিবারের লোকেরা। মৃতের কাকা আজাহার হোসেন বলেন, “সোমবার সকালে বাড়ি থেকে ভাইপো বের হয়েছিল। লঞ্চ দুর্ঘটনায় খবর পাওয়ার পর থেকে গঙ্গাপাড়েই আমাদের দিন কাটছিল। ভাইপোকে এ রকম অবস্থায় বাড়ি নিয়ে যেতে হবে তা কখনও ভাবতে পারিনি।” এরই মধ্যে এ দিন আরবিয়াবিবি নামে এক মহিলা জানান, তাঁর ভাই মন্টু শেখেরও এখন খোঁজ মেলেনি। তিনি বলেন, “ভাইয়ের এখনও খোঁজ পাইনি। উদ্ধারের কাজে গতি আরও বাড়ানো উচিত।”