Advertisement
E-Paper

গণধর্ষণে ধৃতদের মারধর

সোমবার রাতে খাপরাইল মোড় এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার আশিস বিশ্বাস ওরফে রজত এবং শিসকুমার নামে দুই খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ধাক্কাধাক্কিতে অভিযুক্তরা জখম হয়নি। সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে ধর্ষণকাণ্ডের পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ। অভিযুক্তদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:৪৩

আদালতে ওঠানোর সময় জনরোষের মুখে পড়ল মাটিগাড়া ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে কোর্ট লকআপে নিয়ে যাওয়ার পথে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কয়েক জন তাদের মারধরের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে খাপরাইল মোড় এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার আশিস বিশ্বাস ওরফে রজত এবং শিসকুমার নামে দুই খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ধাক্কাধাক্কিতে অভিযুক্তরা জখম হয়নি। সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে ধর্ষণকাণ্ডের পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ। অভিযুক্তদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাগডোগরা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা তাঁর চার বছরের ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বাগডোগরার আরও তিন নাবালিকার সঙ্গে সোমবার রাতে মাটিগাড়া সিটি সেন্টারে ঘুরতে গিয়েছিল। ফেরার পথে সিটি সেন্টারের সামনে থেকে তারা একটি ছোট গাড়িতে চাপে। মেয়েটিকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে মাটিগাড়া থানা এলাকার খাপরাইল মোড়ে এসে আরও দুই যুবককে ফোন করে ডাকে শিসকুমারেরা। তার পর ওই মোড় সংলগ্ন একটি জঙ্গলের পাশে ফাঁকা মাঠে মেয়েটিকে চার যুবক মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় একটি গাড়িও আটক করা হয়েছে।

ঘটনায় এখনও দু’জন ফেরার। তা হলে কেন আদালতের কাছে ধৃত অভিযুক্তদের হেফাজতে চাইল না পুলিশ? পুলিশ সূত্রে দাবি, রজত এবং শিসকুমারকে এখনও প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া বা টিআই প্যারেড এবং মেয়েটির গোপন জবানবন্দী রেকর্ড করা বাকি। সরকারি আইনজীবী সনৎ দেব সরকার বলেন, ‘‘এ দিন পুলিশ দু’টি আবেদনই আদালতের কাছে পেশ করেছে। সেগুলি মঞ্জুরও হয়েছে।’’ আইনজীবীরা জানান, শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলেও অভিযুক্তদের পুলিশ নিজের হেফাজতে নিতে পারে।

এ দিন তদন্তের জন্য প্রথমে বাগডোগরা, পরে খাপরাইল মোড় এলাকাও ঘোরেন তদন্তকারীরা। তবে তা পুনর্নির্মাণ বলে মানতে চায়নি পুলিশ। এদিন দুই অভিযুক্তকে বিশেষ পকসো আদালতে তোলা হলে তাদের জামিনের আর্জি নাকচ করেন জেলা ও দায়রা (পকসো বিশেষ আদালত) বিচারক নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। জামিনের আর্জি হলেও কোনও আইনজীবী তাদের হয়ে সওয়াল করতে হাজির ছিলেন না বলে দাবি।

Siliguri Gangrape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy