ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা পেল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। ‘ঠিক সময়ে’ পুলিশ ঢুকে যাওয়ায় ডাকাতির আগে দু’জন ধরা পড়েছে। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রশস্ত্র। পাওয়া গিয়েছে জাল আধার কার্ড, জাল নম্বরপ্লেট-সহ চুরির মোটর বাইক। ঘটনাস্থল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর। আরও তিন জনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুজোর আগে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ছক কষেছিল একটি ডাকাতদল। মালদহ পুলিশের দাবি, আন্তঃরাজ্যে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তেরা ছক কষে মঙ্গলবার হাজির হয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায়। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে ঘোরাফেরা করছিলেন তাঁরা। অভিযুক্তেরা মোট পাঁচ জন ছিলেন। ডাকাতির জন্য রেকি করছিলেন তাঁরা। ব্যাঙ্কে ওই সময় অনেক গ্রাহকের আনাগোনা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের অপরাধ দমন বাহিনী ওই সময়েই বেরিয়েছিল টহলে। সম্প্রতি এলাকার নিরাপত্তার জন্য তারা নিয়মিত টহলদারি করছে।
মঙ্গলবার পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর জাকির হোসেন। তাঁরা ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটিতেও যান। সেই সময় পুলিশের নজর যায় ব্যাঙ্কের মধ্যে দুই যুবকের দিকে। তাঁরা ইতস্তত ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এর পর ব্যাঙ্কের বাইরে একটি বাইকের নম্বরপ্লেট দেখে খটকা লাগে তাদের। খোঁজ করতেই দেখা যায়, বাইকটির নম্বরপ্লেট ভুয়ো। বাইকের মালিকেই খোঁজ করতেই ধরা পড়়েন সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকা দুই ব্যক্তি। তল্লাশি করতেই তাঁদের কাছ থেকে মেলে জাল আধার কার্ড, মুখ ঢাকা দেওয়ার বিভিন্ন কাপড় এবং মাস্ক, স্ক্রু ড্রাইভার থেকে শুরু করে বিবিধ সরঞ্জাম।
জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে ডাকাতির ছকের কথা। গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। ধৃতদের নাম বীরুকুমার যাদব এবং সতীশ যাদব। বীরুর বয়স ২৮, সতীশ ৪০ বছরের। দু’জনেই বিহারের বাসিন্দা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই দু’জন জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আরও তিন জন ছিলেন। তাঁরা পুলিশ দেখে পালিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতেরা বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মে যুক্ত। ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে তাঁরা আত্মগোপন করে থাকতেন। বৃহত্তর এবং পরিকল্পিত অপরাধচক্রের অংশ তাঁরা। তদন্তের অগ্রগতির জন্য ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার চাঁচল মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছে। জেলা পুলিশের দাবি, তাদের তৎপরতার বড় ডাকাতির পরিকল্পনা বানচাল করা গিয়েছে। পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।