Advertisement
E-Paper

শিশু চুরির অভিযোগ, ধৃত দুই শিক্ষক

গোপনে দিন মজুর পরিবারের শিশু কন্যা বিক্রিতে মধ্যস্থতা করা এবং কেনার অভিযোগে পুলিশ দুজন প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, মায়ের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে টাকার লোভে বাবা গত রবিবার গোপনে সদ্যোজাতকে বিক্রি করেন। বুধবার পড়শিদের মাধ্যমে মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এর পরেই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। শিশুটিকে মাথাভাঙা থেকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৩

গোপনে দিন মজুর পরিবারের শিশু কন্যা বিক্রিতে মধ্যস্থতা করা এবং কেনার অভিযোগে পুলিশ দুজন প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, মায়ের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে টাকার লোভে বাবা গত রবিবার গোপনে সদ্যোজাতকে বিক্রি করেন। বুধবার পড়শিদের মাধ্যমে মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এর পরেই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। শিশুটিকে মাথাভাঙা থেকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

পুলিশ জানায়, ধৃত দুই শিক্ষকের নাম অতুল বসাক ও পার্থ বিশ্বাস। অভিযোগ, দিনমজুর পরিবারের ওই সদ্যজাতকে বিক্রির কাজে মধ্যস্থতা করেন অতুলবাবু। নিঃসন্তান পার্থবাবু অতি গোপনে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাতকে কিনে নিয়ে মাথাভাঙায় চলে যান। সদ্যোজাত শিশুটির বাবা বুলবুল হক পলাতক। ধূপগুড়ি থানার আইসি যুগলচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।”

শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই শিশুটির মা জানান, গত শনিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতালে গেলে তাঁকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু মাঝ রাস্তায় যন্ত্রণা বাড়লে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। রবিবার তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় তাঁর স্বামী জোর করে সদ্যজাতকে কেড়ে নিয়ে ২৫ হাজার টাকায় এক শিক্ষকের কাছে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, “আমাদের চার বছরের এক ছেলে আছে। কিন্তু মেয়েকে বেহাত করতে চাইনি। কিন্তু প্রতিবাদ জানালে স্বামী ধমক দিয়ে মারধর করার হুমকি দেয়। মেয়েকে বিক্রির সময় বাড়ির পাশের স্কুলের শিক্ষক অতুল বিশ্বাস ছিলেন। স্বামীর ভয়ে কিছু জানাতে পারছিলাম না। এদিন স্বামী কাজে গেলে ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানাই। ওঁরা থানায় নিয়ে যায়। সেখানে সবই খুলে বলেছি।”

পুলিশ জানান, নেতাজি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অতুলবাবুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মাথাভাঙার শিক্ষক পার্থবাবুর নাম জানা যায়। এর পরে সেখানকার পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে শিশু উদ্ধার করা হয়। ধূপগুড়ি থানার আইসি জানান, কেন অতুলবাবু প্রাথমিক শিক্ষক হয়েও শিশু বিক্রির ঘটনায় মধ্যস্থতা করতে গেলেন, কেমন করে দিনমজুর বুলবুলের সঙ্গে তিনি রফা করলেন সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও তথ্য উদ্ধারের জন্য পলাতক বুলবুলের খোঁজ চলছে।

dhupguri thief police primary teacher north bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy