Advertisement
০১ অক্টোবর ২০২৩

শিক্ষাঙ্গনে তুলকালাম

বুধবার শিক্ষাকর্মীদের একাংশ তাদের উপর হামলা করেছে— এই অভিযোগ তুলে দোষীদের শাস্তির দাবিতে এ দিন নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন একদল ছাত্র-ছাত্রী।

অনুরোধ: পড়ুয়াদের অবরোধ তুলতে বলছেন শিক্ষকরা। নিজস্ব চিত্র

অনুরোধ: পড়ুয়াদের অবরোধ তুলতে বলছেন শিক্ষকরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০৭:০৫
Share: Save:

আন্দোলন ও পাল্টা আন্দোলনের জেরে শুক্রবার অচল হয়ে গেল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। কোনও বিভাগেই ক্লাস হয়নি এ দিন। বন্ধ ছিল প্রশাসনিক কাজকর্মও। ক্যাম্পাসে এসেও ঘুরে যান বহু ছাত্রছাত্রী। জেলার কলেজগুলি থেকেও অনেকে প্রশাসনিক ভবনে কাজে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হন।

সকাল ৮টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অন্য দিকে, রেজিস্ট্রারের ঘরের সামনে অবস্থানে বসে শিক্ষাকর্মী সমিতি। তাঁদের পাল্টা দাবি, বুধবার হামলা করেছে ছাত্ররাই। তাতে অসুস্থ অবস্থায় এখনও একজন নিরাপত্তাকর্মী নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন। ঘটনার তদন্তে এ দিনই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালিকে চেয়ারম্যান করে তিন জনের একটি কমিটি তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সেই কমিটিতে গৌড়বঙ্গ ও কোচবিহার পঞ্চানন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধানরাও আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশের বক্তব্য, এই গোলমালের সূত্রপাত বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষকের দ্বন্দ্ব থেকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার বিভাগীয় প্রধান নিখিলচন্দ্র রায়ের হয়ে একটি দল, আর মঞ্জুলা বেরার হয়ে আর একটি দল আন্দোলন শুরু করে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই দাবি। ওই সূত্রেরই দাবি, মঞ্জুলার বহিষ্কার চেয়ে বুধবার উপাচার্যের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন কয়েক জন ছাত্রছাত্রী। পরে দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার নালিশ করে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। উপাচার্যও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। সে দিনের মতো সেখানেই মিটে গিয়েছিল গন্ডগোল।

আধিকারিক, শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, শুক্রবার সকালেই বাংলা বিভাগ-সহ অন্যান্য বিভাগের একদল ছাত্রছাত্রী প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভাগের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। বেলা আড়াইটে নাগাদ উপাচার্য পড়ুয়াদের কাছে যান এবং তদন্ত কমিটি তৈরির কথা জানান। ছাত্রদের অনুরোধ করেন আন্দোলন প্রত্যাহার করতে। পরে উপাচার্য বলেন, ‘‘আমরা ছাত্রদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তদন্ত কমিটিকে বলা হবে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে। বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE